দিলীপ ঘোষ- ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুরের সাংসদের রাজনৈতিক শিক্ষার ভিত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস), যারা হিন্দুত্বর বিষয়ে কট্টরপন্থী। তৃণমূলের সন্ত্রাস চালাচ্ছে বাংলায় এই অভিযোগ করেছেন। ক্ষুরধার বক্তব্যর জন্য পরিচিত দিলীপ ঘোষের কথায়, "আমি ওরকম মিষ্টি মিষ্টি কথা বলতে পারব না। যখন আমারই দলের লোকদের দেহ বেঁধে ফেলে দেওয়া হচ্ছে তখন আমি মিষ্টি ভাষায় কথা বলতে পারব না।"
তথাগত রায়- পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এবং শিক্ষাবিদ। একাধিক বই লিখেছেন। এর মধ্যে রয়েছে জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে লেখা বই। বাংলা রাজনীতিতে তিনি অত্যন্ত পরিচিত মুখ। আরএসএস-এর সমর্থন পেয়ে এসেছেন সবসময়। গোঁড়ামির মতো বিষয়কে প্রশয় দেন। রক্ষণশীল। তবে অনেকসময় হিন্দুত্বর ব্র্যান্ডটিকে অস্বস্তিতেও ফেলেছেন।
সৌরভ গাঙ্গুলী- দিদিকে আসন চ্যুত করতে কী বিজেপির হয়ে নির্বাচনী ময়দানে নামবেন দাদা? এই প্রশ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সৌরভ গাঙ্গুলিকে করেছিলেন। কিন্তু এর কোনও সদর্থক জবাব দেননি বেহালা তনয়। তবে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের খুবই ঘনিষ্ট।
স্বপন দাশগুপ্ত- বাকপটুতায় জুড়ি মেলা ভার। একদম মধ্যবিত্ত বাঙালি ভদ্রলোক বলতে যা বোঝায় অনেকটাই মিলে যায় স্বপন দাশগুপের সঙ্গে। তবে বুদ্ধিজীবী সমাজের সঙ্গে এবং সেই সমাজের মধ্যে নিজস্ব ক্ষমতা ও কায়েম করার শক্তি রয়েছে এই নেতার মধ্যে। তবে দলে কিংবা দলের বাইরে জনপ্রিয় নন। পদ্ম শিবিরে তাঁর হয়ে কথা বলার লোক খুব কম আছে।
স্বামী কৃপাকরানন্দ- অসম্ভব ভাল অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসক হিসেবে প্র্যাকটিস করতেন। তবে ধীরে ধীরে সন্ন্যাসে নিয়োজিত হয়েছেন। অত্যন্ত ভাল বাগ্মী। দক্ষতার জেরে যুবসমাজকে আকৃষ্ট করেন তাঁর অনুপ্রেরণামূলক ভাষণের মাধ্যমে। অনেকেই মনে করছেন হয়ত বাংলার 'যোগী আদিত্যনাথ' হয়ে উঠবেন তিনি। বর্তমানে বেনারসের রামকৃষ্ণ মিশনে তাঁর মেডিকেল টিম নিয়ে কাজ করছেন স্বামী কৃপাকরানন্দ। এসব যুক্তিকে গুজব হিসেবেই ব্যক্ত করেছেন তিনি।