NOTIFICATIONS
2nd Jun
বিজেপির নবান্ন অভিযানকে (BJP Nabanna Abhijan) কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা। মঙ্গলবার বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল করে নবান্নের দিকে এগোতে শুরু করেন বিজেপির নেতা কর্মী সমর্থকেরা।
অভিযানের শুরু থেকেই বাড়তে থাকে উত্তেজনা। বেলা যত বেড়েছে ততই উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি। এদিন পিটিএস-এর কাছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) ও আরও এক বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাকে (Rahul Sinha) আটকায় পুলিশ।
যার জেরে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বচসা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন শুভেন্দু অধিকারীরা। একটা সময় শুভেন্দু, লকেট, রাহুলদের আটক করে পুলিশ।
অন্যদিকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার সাঁতরাগাছি। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের আটকাতে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। (ছবি-শ্যামসুন্দর ঘোষ)
সেই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। স্টেশনের গ্রানাইট পাথর ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। চালানো হয় ভাঙচুরও। (ছবি-শ্যামসুন্দর ঘোষ)
বিজেপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ব্যবহার করা হয় জলকামান। তাতে প্রথম দিকে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও পরে ফের গণ্ডগোল শুরু হয়। মুড়িমুড়কির মতো পাথরের সামনে একসময় কার্যত অসহায় দেখায় পুলিশকেও। (ছবি-শ্যমসুন্দর ঘোষ)
আরও পড়ুন - কল্যাণী AIIMS নিয়োগ দুর্নীতিতে CBI তদন্ত নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের
অন্যদিকে হাওড়া ময়দান চত্বরেও ছড়ায় উত্তেজনা। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে সেখানে জলকামান প্রয়োগ করতে হয় পুলিশকে।
এদিকে লালবাজারের কাছে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক। একজনকে রাস্তায় শুয়ে থাকতেও দেখা যায়। অভিযানে বেড়িয়ে আহত হন বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত।
বড়বাজারে পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। (ছবি-শ্যামসুন্দর ঘোষ)
