রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাত্ই পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। এই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতিতে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই। বস্তুত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের তিন ভাই ও অভিষেক সক্রিয় ভাবেই রাজনীতি করেন। বাকি সদস্যদের রাজনীতির মঞ্চে বিশেষ দেখা যায়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিশোরী বয়সেই বাবাকে হারান। মাত্র ১৭ বছর বয়সে মৃত্যু হয় প্রমিলেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৬ ভাই। অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়, গণেশ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়।
কার্তিক, গণেশ ও বাবুন দেখা গিয়েছে রাজনীতির মঞ্চে। মমতার তিন ভাই গণেশ, কার্তিক ও বাবুন নিয়মিত মিটিং-মিছিলে থাকলেও তাঁদের তৃণমূলের কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রথমে আনা হয়নি।
কার্তিক বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছেন। পাশাপাশি তিনি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করেন। গণেশ আর কয়েকজন তৃণমূল সমর্থকদের মতো বিভিন্ন সভা-সমিতিতে যোগ দিয়ে নিজেকে তৃণমূলের কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
সম্প্রতি মমতা বিজেপিকে রুখতে দুটি বাহিনী গঠন করার ঘোষণা করেন। একটি পুরুষদের 'জয় হিন্দ বাহিনী', অন্যটি মহিলাদের 'বঙ্গ জননী বাহিনী'। এই দুটি বাহিনী গড়া হয়েছে রাজ্যজুড়ে। তাদের কাজ তৃণমূলের পক্ষে প্রচার চালানো এবং সেই সঙ্গে বিজেপির 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনির পাল্টা 'জয় হিন্দ' স্লোগানকে প্রচার করা। মমতা বলেন, এই দুই বাহিনীর পোশাকও হবে আলাদা। পুরুষের পোশাক হবে পাঞ্জাবি-পায়জামা আর নারীদের হবে গঙ্গা-যমুনা পাড়ের শাড়ি।
এই জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি হিসেবে মমতা বেছে নেন ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এই বাহিনীর আহ্বায়ক করা হয় মমতার আরেক ভাই গণেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে আর ভাইস চেয়ারম্যান করা হয় ইন্দ্রনীল সেনকে। ফলে এই জয় হিন্দ বাহিনীর শীর্ষপদে চলে আসেন মমতার দুই ভাই গণেশ ও কার্তিক।