Lakshmir Bhandar : লক্ষ্মীর ভাণ্ডার শিবিরে 'মমতা'-'লক্ষ্মী' মোলাকাত!

অভিনব ছোঁয়া এইবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)-এ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (WB CM Mamata Banerjee) স্বপ্নের প্রকল্পে এইবার লাইনে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের যাতে ধৈর্য না ঘটে তার জন্য অভিনব ছোঁয়া লাগল নদিয়ার শান্তিপুরে।

লক্ষ্মী প্রতিমার আদলে লক্ষী সাজিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পের কর্মসূচি তৃণমূলের।

শান্তিপুর বেলঘড়িয়া দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কালিপুরে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মধ্য দিয়ে চলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পের কর্মসূচি।

শান্তিপুর ব্লকের বেলঘড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে কালিপুর দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে।

সেখানে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে অভিনব হবে লক্ষ্মী প্রতিমার আদলে লক্ষ্মী সাজিয়ে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের কর্মসূচি পালন করল বেলঘড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।

এ বিষয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প মানে প্রত্যেক পরিবারের মায়েরা তাদের বাড়িতে আর্থিক সঞ্চয় করার জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করে থাকে।

একই ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যে মায়েদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প তৈরি করেছে।

তাই লক্ষ্মী প্রতিমার আদলে লক্ষ্মী সাজিয়ে আমরা এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কর্মসূচি পালন করছি।

নদিয়ার ফুলিয়া টাউনশিপ অঞ্চলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায়।

লক্ষ্মীদেবী নিজে ঘুরে লাইন ঠিক করছেন কোথাও বা ফর্ম জমা নিচ্ছেন নিজের হাতে। 

নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া টাউনশিপ অঞ্চলের বিদ্যামন্দির উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত দুয়ারে সরকার অনুষ্ঠানে হঠাৎই দেখা মিলল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

প্রকল্প রূপায়ণের বিষয়ে কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে একান্ত আলাপচারিতায় লক্ষ্মী দেবীর সঙ্গে।

কখনও বা পঞ্চায়েত প্রধান উৎপল বসাকের সঙ্গে কথোপকথন। শান্তিপুর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্য সদস্যরা।মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্মীর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক দেখা গেল। 

এখানে যে মুখ্যমন্ত্রী ঘোরাফেরা করছেন তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রূপক হিসেবে সুসজ্জিত হয়েছে জানালেন প্রধান উৎপল বসাক।

তিনি বলেন, এত মানুষের পরিষেবা একসঙ্গে দিতে দেরি তো একটু হচ্ছেই, তাই ঘরের লক্ষ্মীদের একঘেয়েমি কাটাতে, তাদের মনোরঞ্জনের জন্য এ ব্যবস্থা।

দিন কয়েক আগে বিধাননগরেও একই ছবি দেখা গিয়েছিল।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের প্রচারে এই প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন। 

শাসন ক্ষমতায় এসে তিনি সেই কথা রাখছেন। শুরু হয়ে গিয়েছে প্রকল্পের কাজ।