ইতিমধ্যেই আন্দামানে মৌসুমী বায়ুর আগমন হয়েছে। তা আগামী দু-এক দিনের মধ্যে কেরলে প্রবেশ করতে চলেছে।
তবে আজ থেকে ঊর্ধমুখী কলকাতা-সহ জেলাগুলির তাপমাত্রা। আগামী দিন তিনেক তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
হাওয়া অফিস বলছে, এই মুহূর্তে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে ওড়িশার উপরে এবং বিহার থেকে অন্ধপ্রদেশ পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে। এছাড়াও বাংলায় প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প প্রবেশ করছে।
এর জেরেই আজও দুই বঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে ও দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূমে ঝড় বৃষ্টি হবে।
এদিন উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার হিমালয়ের পাদদেশ সংলগ্ন পাঁচ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি তিন জেলায়, হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার থেকে পরবর্তী দিন চারেকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এদিকে দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে উত্তর-পশ্চিমের গরম হাওয়া আবার প্রবেশ করার ফলে আগামী কয়েকদিন কলকাতাসহ জেলাগুলিতে তাপমাত্রা বাড়বে।
কলকাতাতে আজ আংশিক মেঘলা আকাশ এবং সন্ধ্যেবেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াল, যা স্বাভাবিক বলছে হাওয়া অফিস। বুধবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি বেশি।
এদিন দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলায় ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।