মঙ্গলে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২-৩ দিন অবস্থার পরিবর্তন হবে না। কিন্তু তারপর থেকেই পারদ আবার চড়বে বলেই পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। রাতের তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি বাড়বে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, জোড়া নিম্নচাপ ঠান্ডার আমেজে কাঁটা। তার জেরেই ৩ ডিসেম্বর থেকে ফের দক্ষিণবঙ্গে শুরু হবে বৃষ্টি। ৪ ডিসেম্বর থেকে বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ।
বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরের ওপর নিম্নচাপের সম্ভাবনা থাকায় এই বৃষ্টির পূর্বাভাস। এমনকি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব পড়তে পারে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলে।
আবহাওয়া দফতর বলছে ৩ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার দুই চব্বিশ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও হাওড়ায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
৪ তারিখে গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই রয়েছে বৃষ্টির সতর্কতা। উপকূলীয় জেলা গুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ৬ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই বৃষ্টি।
উপকূলের দুই মেদনীপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। আর বাকি জেলা, দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া ও ঝাড়গ্রামর দু-এক জায়গায় ভারী বৃষ্টি চলবে। ৫ তারিখ বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। এই বৃষ্টি ৬ তারিখ পর্যন্ত চলবে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, থাইল্যান্ডের কাছে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, যা আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে আন্দামান সাগরে পড়বে। পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে এই নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ৩ তারিখ এই নিম্নচাপের ঘূ্র্ণিঝড় পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের জন্য রাজ্যের উপকুলের জেলাগুলোতে হওয়ার গতি থাকবে। কারণ, ৪ তারিখ যখন এই ঘূর্ণিঝড় উড়িষ্যার উপকূলে থাকবে তখন বাংলার উপকুলীয় জেলায় হওয়ার গতি থাকবে ৪৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার। পরবর্তীকালে হওয়ার গতি বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার হতে পারে।
এই অবস্থায় মৎস্যজীবীদের ৩ তারিখ থেকে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা মাঝ সমুদ্রে গিয়েছেন তাদের ফিরতে বলা হয়েছে।