প্রতীক্ষার অবসান, অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই হল দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন।
অক্ষয়তৃতীয়ার দুপুরেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হল। এদিন সকাল ১১টা ১০ থেকে ১১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়। দুপুরে মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জগন্নাথের উদ্দেশে প্রথম সন্ধ্যারতিও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজই দর্শনার্থীদের খুলে যাচ্ছে মন্দির। ৩ বছর ধরে যারা মন্দির নির্মাণে কাজ করেছে সকলকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। সকলের সহযোগিতা না পেলে মন্দির নির্মাণ সম্ভব ছিল না, উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দায়িত্বে রয়েছে ইসকন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'মন্দিরের শীর্ষে বিষ্ণুর অষ্টধাতুর চক্র। ৫০০ এর বেশি গাছ লাগানো রয়েছে। মন্দির হাজার হাজার বছর ধরে তীর্থস্থান হিসাবে মাথা উচু করে দাঁড়াবে। জগন্নাথ মন্দির ধর্মীয় তরঙ্গ সৃষ্টি করবে। ইসকন দায়িত্ব নিয়ে প্রতিদিনের ভোগসেবা করবে। দীঘায় প্রতিদিন দারুমূর্তি পুজিত হবে।' সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। মা-মাটি-মানুষকে মন্দির উৎসর্গ কেরন তিনি।
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ ও ছবি বাড়ি বাড়ি যাবে সেই বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
গতকালই মহাযজ্ঞ হয়েছে দিঘার মন্দিরে। পূর্ণাহুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলিঙ্গ শৈলীতে তৈরি জগন্নাথ দেবের মন্দিরটি পুরীর মন্দিরের আদলেই তৈরি হয়েছে। বেলা ৩ টে বেজে ১৫ মিনিটে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই মন্দির সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
দিঘার জগন্নাথধামের স্থাপত্যশৈলীও চোখ ধাঁধানো। নাটমন্দিরটি দাঁড়িয়ে রয়েছে ১৬টি স্তম্ভের উপরে। মূল মন্দিরে রয়েছে ভোগমণ্ডপ, নাটমন্দির, জগমোহন এবং গর্ভগৃহ। ভিতরে সিংহাসনে রয়েছে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি। নিমকাঠের তৈরি মূল বিগ্রহের পাশাপাশি পাথরের মূর্তিও রয়েছে। এ ছাড়া, রয়েছে রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহও।
প্রায় ২০ একর এলাকা জুড়ে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করা হয়েছে।
প্রভু জগন্নাথ দেবের প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরেই তাঁকে ৫৬ ভোগ অর্পণ করা হয়।
আজ দিঘার মন্দিরে প্রভু জগন্নাথ দেবের প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরেই হয় স্নানযাত্রা এবং বস্ত্র পরিধানের প্রক্রিয়া। পুরীর মন্দিরের রাজেশ দয়িতাপতির নেতৃত্বাধীন পুরোহিতেরাই এই কাজ করেন।