মাঝরাতে বাবাগো-মাগো বলে চিৎকার, বৈদ্যবাটিতে রহস্য মৃত্যু যুগলের

মণীশ একটি ঢালাই কারখানায় কাজ করতেন। অপর্ণা বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করতেন। দু'জনেই সকালে কাজে বেরিয়ে যেতেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন যে, মণীশ নেশা করতেন। এনিয়ে দু'জনের মাজে মাঝেই অশান্তি হত।

Advertisement
মাঝরাতে বাবাগো-মাগো বলে চিৎকার, বৈদ্যবাটিতে রহস্য মৃত্যু যুগলেরমাঝরাতে বাবাগো-মাগো বলে চিৎকার, বৈদ্যবাটিতে রহস্য মৃত্যু যুগলের
হাইলাইটস
  • অনুমান, ঝগড়া মারামারি করার সময় ধারাল কিছু দিয়ে একে অপরকে আঘাত করেন মণীশ ও অপর্ণা
  • ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে

হুগলির বৈদ্যবাটিতে রহস্য মৃত্যু যুগলের। মৃতদের নাম মণীশ ভাদুড়ি (৩৫) ও অপর্ণা মাঝি (৩২)। বুধবার রাত তিনটে নাগাদ তাঁদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীরামপুর থানার পুলিস। জানা গিয়েছে, বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীতারাম বাগান এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তাঁরা। বৈদ্যবাটি রাজার বাগানে মনীশের নিজের বাড়ি আছে। যদিও তিনি সেখানে থাকতেন না। গত ৬ বছর ধরে সীতারাম বাগানের ভাড়া বাড়িতে থাকছিলেন শুভেন্দু ও অপর্ণা।

মণীশ একটি ঢালাই কারখানায় কাজ করতেন। অপর্ণা বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করতেন। দু'জনেই সকালে কাজে বেরিয়ে যেতেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন যে, মণীশ নেশা করতেন। এনিয়ে দু'জনের মাজে মাঝেই অশান্তি হত। তাঁদের প্রতিবেশী শুভেন্দু মাঝি জানান, রাত তিনটে নাগাদ বাবা গো, মা গো বলে চিৎকার শুনতে পাওয়া যায়। তারপর ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে একজন এবং ঘরের বাইরে পড়ে রয়েছে অন্যজন। ওই অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ তাঁরা ছটফট করেন। পরে তাঁদের মৃত্যু হয়। রাজার বাগানে মণীশের বাড়ির লোককে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে পুলিশে খবর দেয়। পুলিস এসে দু'জনের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশের অনুমান, ঝগড়া মারামারি করার সময় ধারাল কিছু দিয়ে একে অপরকে আঘাত করেন মণীশ ও অপর্ণা। ঘটনার তদন্তে আসেন চন্দননগর পুলিশের ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাস। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

POST A COMMENT
Advertisement