দুর্ঘটনাগ্রস্ত স্কুটির সিট খুলতেই বেরিয়ে এল বন্দুক, ম্যাগাজিন ও চপার। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার ভাঙড়ের ঘটকপুকুর এলাকায়। পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতার দিকে থেকে একটি স্কুটি আসার সময় ঘটকপুকুরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। কাছেই ছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে আসেন তাঁরা। পুলিশ আসতে দেখেই স্কুটি ছেড়ে পালিয়ে যান বাইক আরোহী। গোটা ঘটনায় পুলিশ হকচকিয়ে যায়।
বাইক আরোহী কেন পালিয়ে গেল তা নিয়ে রীতিমতো ধন্ধে পড়ে তল্লাশি শুরু করে ভাঙড় থানার পুলিশ। আর এরপরেই আসল রহস্য সামনে চলে আসে। স্কুটির সিট খুলেই পুলিশ কর্মীরা হতবাক হয়ে পড়েন। একে একে বেরিয়ে আসে পাঁচটি বন্দুক, তিনটি ম্যাগাজিন এবং একটি চপার। তারপরেই পুলিশ উদ্ধার হওয়া সামগ্রী পাশাপাশি বাইকও বাজেয়াপ্ত করে। কিন্তু এই স্কুটি কোথায় যাচ্ছিল? কার কাছে এই অস্ত্রগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? কে এইগুলি সরবরাহ করেছিল? তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
এমনিতেই কিছুদিন অন্তর অন্তর উত্তপ্ত হয় ভাঙড়। তার বেশিরভাগই রাজনৈতিক কারণে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের অন্দরের নানা ঝামেলা প্রকাশ্যে চলে আসে। মারধর, বোমাবাজি লেগেই থাকে যার কারণে। এছাড়াও ভাঙড়ে এখন শক্তিশালী নওশদ সিদ্দিকির আইএসএফ। তাই ভাঙড়ে রীতিমতো রাজনৈতিক পারদ চড়েই থাকে। কিন্তু যেভাবে ভাঙড়ে অস্ত্র পাচার হচ্ছে তা নিয়ে চিন্তায় এলাকাবাসীরা।
অগাস্ট মাসে ঘটকপুকুরে একটি বাইক থেকে উদ্ধার হয় ২১ লক্ষ টাকা। সিগন্যাল ভেঙে এগিয়ে যাওয়ায় ট্র্যাফিক পুলিশ হাত দেখিয়ে বাইকটি সেটিকে থামিয়েছিল। বাইক থামাতেই আরোহী বাইক থেকে লাফ দিয়ে নেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও পুলিশ তাঁকে ধরে ফেলে। এরপর তল্লাশিতে উদ্ধার হয় ৫০০ টাকা নোটের বান্ডিল ভরা একটি ব্যাগ। মোট ২১ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয় ব্যাগ থেকে। পরে গ্রেফতার করা হয় কুতুবউদ্দিন লস্কর নামে বাইক আরোহীকে।