Maheshtala Fire Dead: দক্ষিণ ২৪ পরগণার মহেশতলায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ আগুন। একের পর এক বিস্ফোরণ কেঁপে উঠল এলাকা। ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩ জনের। সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। তবে কারখানার আইনি কাগজপত্র ঠিক ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মহেশতলা পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের পুটখালি মণ্ডলপাড়ায় একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। তাতেই ওই বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী-পুত্র এবং এক প্রতিবেশী কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। জনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় বিস্ফোরণের অল্প সময়ের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। পৌঁছে যায় মহেশতলা এবং বজবজ থানার পুলিশ। এই দুর্ঘটনার মধ্যে প্রশ্ন উঠছে ওই বাজি কারখানা তৈরির অনুমতি ছিল কি না। কারণ, এমন ঘন জনবসতি এলাকায় বাজি কারখানা করা যায় না বলেই মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম লিপিকা হাতি (৫২), শান্তনু হাতি (২২) এবং আলো দাস (১৭)। লিপিকা ওই বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী। শান্তনু ওই বাজি কারখানার মালিকের ছেলে। এ ছাড়া, ১৭ বছরের যে নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে, সে এ বছরই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে বলেই খবর।
এলাকাটি ঘন-বসতিপূর্ণ হওয়ায় আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। তবে খবর পেয়েই দমকলের একটি ইঞ্জিন ও মহেশতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারপর দমকলকর্মীদের দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে গোডাউনের ভিতরে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। ইতিমধ্যে পোড়া দেহগুলি উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এছাড়া কয়েকজন অল্প-বিস্তর আহতও হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।