স্থানীয় আদিবাসীদের বিক্ষোভের জেরে টানা তিনদিন ধরে বন্ধ দেউচা-পাঁচামির খনন কাজ ৷ লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা ৷ কিন্তু এই আন্দোলনের আঁচ যাতে ছড়িয়ে না পরে তার জন্য দেউচা-পাঁচামিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এমনই অভিযোগ উঠেছে। আটক করা হয়েছে আদিবাসী নেতাদের ৷ বৃহস্পতিবার মার্চ বোলপুর থেকে দেউচা-পাঁচামি যাচ্ছিলেন আদিবাসী নেতারা ৷ খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের থানায় নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় ও এশিয়ার সর্ববৃহৎ প্রস্তাবিত কয়লা খনির কাজ তিন ধরে বন্ধ। কারণ, স্থানীয় আদিবাসীদের আন্দোলন ৷ ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিজেদের ভিটেমাটি ছাড়তে নারাজ তাঁরা ৷ তবে সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে বলে মনে করেছে রাজ্য সরকার ৷
নবান্ন সূত্র অনুসারে, খুব দ্রুত এই বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। তাতে স্থানীয় মানুষের প্রতিনিধিত্বও থাকবে ৷ তাঁদের দাবি-দাওয়াকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েই দেখা হবে। রাজ্য প্রশাসনের বক্তব্য এক্ষেত্রে স্পষ্ট। বলপ্রয়োগ বা জোর করে নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সহমতের ভিত্তিতেই জট কাটানোর চেষ্টা হচ্ছে ৷ খুব তাড়াতাড়ি সব মিটে যাবে এবং পুনরায় কাজ শুরু হবে।
রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, পুরো বিষয়টির দিকে নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছু অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটছে দেউচা-পাঁচামিতে, যা আদৌ কাম্য নয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের প্রশাসনের তরফ থেকে সব ধরনের সতর্কতা এবং সাধারণ মানুষকে বোঝানোর প্রয়াস চালানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে নিয়েই সমস্যার সমাধান করা হবে ৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেই চলতি মাসেই নবান্ন থেকে একটি শীর্ষ আধিকারিকদের প্রতিনিধি দল সেখানে যেতে পারে। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ৷ কোথায় তাঁদের ক্ষোভ রয়েছে, তা বোঝার চেষ্টা করে সরাসরি সমাধান করার চেষ্টা হতে পারে বলেই খবর। স্থানীয় আদিবাসী মহিলারা প্রথমে চরকা পরবর্তীতে আম পাতা ঘুরিয়ে ভারতের সমস্ত আদিবাসী সম্প্রদায়কে আলোচনায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
সংবাদদাতাঃ শান্তনু হাজরা