scorecardresearch
 

কল্যাণ-কুণাল দ্বন্দ্ব আসলে মমতা ও অভিষেকের বিরোধ, বিস্ফোরক অধীর

তৃণমূল সূত্রের খবর, কল্যাণ ও কুণালের বিতণ্ডার খবর পৌঁছয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে। বিবাদ মেটানোর দায়িত্ব মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে দেন তৃণমূল নেত্রী। বার্তা দেওয়া হয়, ক্ষোভ-বিক্ষোভ সরাসরি নেত্রীকেই বলতে হবে। তাতে বরফ গলেছে।

Advertisement
অভিষেক, মমতা ও অধীর- ফাইল ছবি। অভিষেক, মমতা ও অধীর- ফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • কল্য়াণ ও কুণালের তরজা নিয়ে মুখ খুললেন অধীর।
  •  ভাইপোর বিরুদ্ধে যা কিছু বলা হচ্ছে, তার পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে বলে তাঁর দাবি।
  • টুইটারে হাসির ইমোজি দিয়ে কুণাল লেখেন,'অধ্যায় শেষ।'    

ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরোধী শুরু হয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কল্যাণ ও কুণালের বাগযুদ্ধ নিয়ে এই তত্ত্বই দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এদিকে তৃণমূলের দুই নেতার মধ্যে টানাপোড়েনে যে ইতি পড়েছে তার ইঙ্গিত দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। টুইটারে হাসির ইমোজি দিয়ে তিনি লেখেন,'অধ্যায় শেষ।'    

কল্য়াণ ও কুণালের তরজা প্রসঙ্গে অধীর বলেন,''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি ছাড়া ভাইপোর বিরুদ্ধে কিছু বলার তৃণমূল নেতাদের ক্ষমতা আছে? ভাইপোর বিরুদ্ধে যা কিছু বলা হচ্ছে, তার পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে। যেখানে তাঁর দলের সাংসদ, দলের সাধারণ সম্পাদকের সমালোচনা করছেন, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চুপ কেন? এই নীরবতার মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হচ্ছে, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ভাইপোর বিরোধ শুরু হয়েছে। এটা আমি দায়িত্বের সঙ্গে বলতে পারি।''

তৃণমূল সূত্রের খবর, কল্যাণ ও কুণালের বিতণ্ডার খবর পৌঁছয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে। বিবাদ মেটানোর দায়িত্ব মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে দেন তৃণমূল নেত্রী। বার্তা দেওয়া হয়, ক্ষোভ-বিক্ষোভ সরাসরি নেত্রীকেই বলতে হবে। তাতে বরফ গলেছে। বিষয়টি যে মিটমিট হয়ে গিয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে কুণালের টুইটে। তিনি লিখেছেন,''অধ্যায়ের সমাপ্তি।''
 

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকের পর অভিষেক বলেছিলেন,''এখন মেলা, খেলা, ভোট সব বন্ধ রাখা উচিত। দু'মাস সব বন্ধ রাখা উচিত। মানুষ বাঁচলে আমরা বাঁচব। এটা আমার ব্যক্তিগত মত।''

ওই মন্তব্য মমতা সরকারের বিরুদ্ধাচরণ হিসেবে দেখেছেন কল্য়াণ। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ বলেছেন,''দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ সর্বক্ষণের। এই পদে থেকে কারও ব্যক্তিগত কোনও মত থাকতে পারে না। অনেক বিষয়ে আমারও ব্যক্তিগত মত আছে। দলীয় শৃঙ্খলার কারণেই তা প্রকাশ্যে বলা যায় না। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধাচারণ। এভাবে রাজ্য সরকারকেই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।''

Advertisement

এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ প্রতিক্রিয়া দেন,''দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই স্থান অভিষেকের। দলের সাধারণ সৈনিক হিসেবে তাঁর কথা আমাদের চুপ করে শোনা উচিত। সাধারণ সম্পাদক একটা কথা বলেছেন। সেটাই দলের মত। কল্যাণ কখন বলেছে, সন্ধের আগে না পরে, সেটা দেখতে হবে।''

আরও পড়ুন-পুরভোট-সিদ্ধান্ত নিতে হবে কমিশনকেই, নির্দেশ হাইকোর্টের 

তার পাল্টা আবার কুণালকে নিশানা করে কল্যাণ জানিয়ে দেন,''আমার নেত্রী মমতা। কুণাল কবে দলে ছিল, কবে আছে,ও তো মমতার বিরুদ্ধে বলেছে। আমি তো জেলখানায় বসে বলিনি। দলবিরোধী কথা আমি বলি না। মমতার নেতৃত্বে রাজনীতি করি। কুণাল ঘোষ তো সাংবাদিক হিসেবে ১৬ লক্ষ টাকা মাইনে নিতেন। আজ এমন হাল কেন! এত বড় সাংবাদিক। কোনও মিডিয়া হাউসে একটা চাকরি জুটল না। পার্থ চট্টোপাধ্যায় দেখছেন। আমাকে দল থেকে কিছু বলা হয়নি।''

আরও পড়ুন- অভিষেক ইস্যুতে কল্যাণ VS কুণাল! TMC-র অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

Advertisement