প্রথমে ঘোষণা করেছিলেন রাজনীতি ও সাংসদ পদ দুটোই ছাড়বেন। তবে সেই সিদ্ধান্তে কিছুটা পরিবর্তন এনেছেন। পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজনীতি ছাড়লেও সাংসদ পদ ছাড়ছেন না বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। অর্থাৎ বাবুলের কথা অনুযায়ী সাংসদ হিসেবে আসানসোলের (Asansol) মানুষের প্রতি দায়িত্ব পালন করে যাবেন তিনি। তবে বাবুল সাংসদ হিসেবে নিজের কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বললেও, আসানসোলের উন্নয়নমূলক কাজ আদতেও কতটা এগোবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কোনও কোনও মহলে। কারণ একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কিছুদিন আগেই দীর্ঘদিন নিজের এলাকায় দেখা না পাওয়ার অভিযোগে ;নিখোঁজ' পোস্টার পড়েছিল বাবুলের নামে।
বাবুল সুপ্রিয়র উন্নয়নমূলক প্রকল্প
২০১৪ সালে প্রথম আসানসোল থেকে সাংসদ হন বাবুল সুপ্রিয়। ২০১৯ সালেও জয়ী হন তিনি। ইতিমধ্যেই আসানসোল লোকসভা এলাকায় বেশকিছু উন্নয়নমুলক কাজের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। তারমধ্যে প্রধান প্রধান কয়েকটি প্রকল্প হল-
১) আসানসোলের কুমারপুরে রেল এবং সেলের সংযুক্তিকরণ ওভারব্রিজ
২) ইএসআই হাসপাতালের নতুন ভবনের জন্য কেন্দ্রের থেকে ৬০ কোটি টাকা মঞ্জুরি
৩) বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা রেলের শতাব্দী পার্কের সৌন্দর্যায়ন ও সংস্কার
৪) আসানসোল রেল স্টেশনের সৌন্দর্যায়ন, যাত্রী নিবাস এবং বিমানবন্দরের মতো ঝকঝকে ওয়েটিং রুম
৫) সীতারামপুর স্টেশনে ওয়েয়িং রুম ও বরাকর স্টেশনে শৌচাগার
৬) আসানসোল রেলপাড়ে নতুন আন্ডারপাস
৭) গ্রামে গ্রামে রাস্তা, স্ট্রিট লাইট
৮) দত্তক নেওয়া সিধাবাড়ি গ্রামে রাস্তা, সোলার লাইট, সাবমার্সিবল পাম্প সহ অনান্য প্রকল্প
এর মধ্যে কুমারপুরের রেল এবং সেলের সংযুক্তিকরণ ওভারব্রিজ নির্মাণ এবং ইএসআই হাসপাতালের নতুন ভবনের জন্য ৬০ কোটি টাকা মঞ্জুরি ছাড়া বাকি সবকটি প্রকল্পের কাজই একপ্রকার সম্পন্ন বা শেষ হওয়ার পথে বলে জানা যাচ্ছে। আর এখানেই প্রশ্ন, রাজনীতি ছেড়ে বাবুল শুধুমাত্র সাংসদ হিসেবে থেকে যাওয়ায় বাকি থাকা প্রকল্পের কাজ এবং আগামিদিনের উন্নয়ন কতটা গতি পাবে?
যদিও বাবুল অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি আসানসোলে যাবেন এবং সাংসদ তহবিলের টাকা ঠিকমতো খরচ হচ্ছে কি না সেই দিকে নজর রাখবেন। এখন দেখার সত্যিই আগামিদিনে ঠিক কী পায় আসানসোল।
আরও পড়ুন - মালদায় লটারিতে রাতারাতি ১ কোটি টাকার মালিক খোদ বিক্রেতাই