সাম্প্রতিক কয়েকটি নির্বাচনে ভোট কমছে বিজেপির। উঠে আসছে বাম-কংগ্রেস। সাগরদিঘির উপনির্বাচনেও ১০ শতাংশের কাছাকাছি কমেছে গেরুয়া শিবিরের ভোট। মাত্র ২২ মাসেই তাদের প্রাপ্ত ভোটে ভাগ বসিয়েছে বাম-কংগ্রেস। বালিগঞ্জের উপনির্বাচনেও তথৈবচ। এমনকি বামেরা তাহেরপুর পুরসভা দখল করলেও বিজেপির হাত ফাঁকা। এই পরিস্থিতিতে বাম-কংগ্রেসকে একবন্ধনীতে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দাবি করলেন, রাজ্যে একমাত্র বিকল্প বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জোরকদমে প্রচার চালানো হয়েছিল 'ভোটে নো ভোট টু বিজেপি'। বিজেপি ভরাডুবিতে তা অনুঘটক হয়েছিল বলে অনেকের মত। কৌস্তুভ বাগচীর গ্রেফতারি-কাণ্ডে সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। মহিষাদলের সভায় একই কথা শোনা গেল শুভেন্দুর মুখেও। তিনি বলেন,'এখন কাঁদলে কী হবে? মীনাক্ষী বোনকে ধরে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। কংগ্রেসের কৌস্তুভ বাগচীকে ধরে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছে। বিজেপি রোজ আক্রান্ত হচ্ছে। ২১ সালে আপনারা কী করেছিলেন সিপিএম-কংগ্রেস? বলেছিলেন,নো ভোট টু বিজেপি! আরে সেদিন যদি বলতেন নো ভোট টু মমতা। তার পর জনগণ ঠিক করত। সত্যি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাড়া চাইলে জনগণের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।'
আরও পড়ুন- মাথা কামালেন কৌস্তুভ, মমতাকে সরানো পর্যন্ত চুল না গজানোর পণ
তিনি যোগ করেন,'আমি নন্দীগ্রামে হারিয়েছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ভবানীপুরে উপনির্বাচনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বললেন, আমরা মমতাকে সমর্থন করলাম। লে খেলা! জেলে ঢোকাচ্ছে, ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবচেয়ে বড় গদ্দার। কেউ চিনত না, রাজীব গান্ধী পরিচিতি দিয়েছিলেন। কংগ্রেস তাড়িয়ে দিয়েছিল, রাস্তায় ঘুরছিল। অটলবিহারী বাজপেয়ী নিজের মেয়ের মতো কাছে ডেকে নিয়ে আশ্রয় দিয়েছিলেন।'
রাজ্যে গরু পাচার থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই-ইডি তদন্তের ফায়দাও যাতে বাম-কংগ্রেস না পায় সেই চেষ্টা করেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, 'সিপিএম-কংগ্রেস বেরিয়ে পড়েছে। এরা ছিল ১১ সাল থেকে বিরোধী দল। ২০১১ সাল থেকে বিরোধী দলনেতা ছিল সিপিএমের। ১৬ থেকে কংগ্রেসের। কখনও প্রতিবাদ হয়েছে? চোর ধরা পড়েছে? বিজেপি করবে আর লাভ পাবে ওরা! ২৫ বছর লোকে কংগ্রেসকে দেখেছে।'
আরও পড়ুন- 'পুলিশি অভিযান ঠিক হল না,' কৌস্তুভের গ্রেফতারির বিরোধিতায় কুণাল
তৃণমূল ও বাম সরকারকেও একবন্ধনীতে ফেলেছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়,'৩৪ বছর সিপিএমকে দেখেছে। কিন্তু বিজেপিকে সরকারে দেখেনি। তাই ডাবল ইঞ্জিনের সরকার পশ্চিমবঙ্গে না হলে উপায় নেই। রেখে গিয়েছিল ১ কোটি বেকার। পিসিমণি ২ কোটি করে দিয়েছে। ২ লক্ষ কোটি দেনা করেছিল বামফ্রন্ট। আর সেটা ৬ লক্ষ কোটি করেছে পিসিমণি। বামফ্রন্ট নন্দীগ্রামে গুলি চালিয়ে মেরেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুইয়ে মুসলমান পুড়িয়েছে। একমাত্র জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি ছাড়া এ রাজ্যের গতি নেই।'