Duare Ration from Schools: দুয়ারে রেশন প্রকল্পের জন্য স্কুলের ঘর কাজে লাগাতে চায় রাজ্য সরকার। এ ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে এসেছে। আর তা থেকে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। স্কুলের ঘরকে কেন অন্য কাজে লাগানো হবে, তা নিয়ে আপত্তি তৈরি করে তুলেছেন অনেকে।
জানানো হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে
জানা গিয়েছে, উচ্চ শিক্ষা দফতরের জেলা পরিদর্শকের। অফিস থেকে খড়গপুর মহাকুমার জন্য এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। এবং সেগুলো পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তার মধ্যে যেমন প্রাথমিক স্কুল, তেমনই রয়েছে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রাসা।
কী কী বলা হয়েছে?
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্কুলের একটি ঘরে রাজ্য সরকারের দুয়ারে রেশন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হতে পারে। আর কী বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে? সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কোনও স্কুলে কোনও অতিরিক্ত ঘর থাকে, তা ওই প্রকল্পের জন্য কাজে লাগানো হবে।
অর্থাৎ দুয়ারে রেশন প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হবে। সেখানেই রাখা হবে ওই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন রকমের জিনিস। আর তারপর সেই ঘর থেকে স্থানীয় এলাকায় জিনিসপত্র বিলি করা হবে।
কোনও স্কুল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ভাবে খাদ্যশস্য মজুদ করে রাখা যায় কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জুলাই মাসের শেষ দিকে মহাকুমা পর্যায়ের ডেভলপমেন্ট মনিটরিং কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর। এই পরিকল্পনা বা প্রক্রিয়াটা অস্থায়ী, সেটা উল্লেখ করা রয়েছে ওই।
আরও পড়ুন: আখরোটের চাটনি-গোস্তাবা, শহরে খাস কাশ্মিরী খানার দাওয়াত শালওয়ালাদের
আরও পড়ুন: আপনার পার্টনারের এই ৬ জিনিস খেয়াল করুন, আসল জিনিস জানতে পারবেন
আরও পড়ুন: Sara Ali Khan চুলে নীল রং করালেন, নতুন প্রোজেক্ট শুরু?
তৃণমূল প্রভাবিক সংগঠনের দাবি
তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠনের বক্তব্য, সব স্কুলের জন্য ওই বিজ্ঞপ্তি প্রযোজ্য নয়। যাদের বড় ভবন রয়েছে, নিজেদের কাজ করার জায়গা রয়েছে, সেখানে এই কাজের জন্য ব্যবহার করা হবে। স্কুল-লেখাপড়া জরুরি, রেশনও জরুরি জিনিস। বিষয়টিকে অপব্যাখ্যা না করাই ভালো।
পাল্টা দাবি
তবে স্কুল থেকে রেশনের জিনিসপত্র সরবরাহ করা হলে লেখাপড়ায় প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা করেছে। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের বক্তব্য, যদি স্কুল থেকে রেশন বা অন্য় কোনও পরিষেবা দেওয়া হয়, তাহলে স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হতে পারে। স্কুল লেখাপড়ার জন্য। তা অন্য কোনও না-ব্যবহার করাই ভাল। এ ব্যাপারে আরও ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। যাতে পঠন-পাঠন কে প্রাধান্য দেওয়া যায়।