scorecardresearch
 

ফের অসন্তোষের আঁচ রাজ্য বিজেপিতে, কীভাবে সামাল দেবে নেতৃত্ব?

শমীক ভট্টাচার্যকে (Shamik Bhattacharyya) প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "বিজেপির মতো একটা রাজনৈতিক দলের কাছে এটা নিঃসন্দেহে অনভিপ্রেত। তবে যাঁরা কালকে এই কথা বলছেন, কোন পরিস্থিতিতে তাঁরা এই কথা বলেছেন, সেটা যেমন দল দেখবে, তেমনই তাঁরাও জানেন যে তাঁরা যেভাবে বলেছেন সেটা দলের পদ্ধতি নয়। এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। দল এটার মিমাংসা করবে। যাঁদের নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাঁরা বিজেপিতেই আছেন। দল থেকে পদত্যাগ করবার কোনও বিষয় কোথাও নেই।" এখন দেখার বাস্তবেই এই 'ড্যামেজ কন্ট্রোল' করতে পারে কিনা পদ্মশিবির।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • রাজ্য বিজেপির 'অন্তর্দ্বন্দ্ব' প্রকাশ্যে
  • মুখ খুলছেন একাধিক নেতা
  • দলই মিমাংসা করবে বলে দাবি শমীকের

কিছুদিন থেমে থাকার পর ফের ক্ষোভ ও অসন্তোষের আঁচ রাজ্য বিজেপির অন্দরে। বিধানসভা ভোটের পর আর কোনও নির্বাচনেই সেভাবে নিজেদের তুলে ধরতে পারেনি বিজেপি (BJP)। পুরভোট ও উপনির্বাচনগুলিতেও ভাল ফল হয়নি। স্বভাবতই ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি নেতা কর্মীদের উৎসাহ। আর তারমধ্যেই ফের একবার প্রকাশ্যে 'দলীয় কোন্দল'। 

আসানসোল ও বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে ভরাডুবির পর দলের রাজ্য নেতৃত্বকে কার্যত 'অপরিণত' বলে নিশানা করেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। এরপর রবিবার বিজেপির রাজ্য কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন মুর্শিদাবাদের দুই বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত এবং সুব্রত মৈত্র। একইসঙ্গে রাজ্য কর্মসমিতি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা করেন মুর্শিদাবাদের আরও দুই নেতা বাণী গঙ্গোপাধ্যায় ও দীপঙ্কর চৌধুরী। আর পদত্যগের কারণ দর্শাতে গিয়ে দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন গৌরীশঙ্কর। 

অন্যদিকে আবার গণ ইস্তফা দিতে দেখা যায় নদিয়াতেও। নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অর্জুন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নিজের ইচ্ছামতো দল চালানোর অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেন দুই সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১০ জন। এমনকি পুরভোটে সভাপতি খেয়ালখুশি মতো প্রার্থী দেওয়ার কারণেই দলকে ফল ভোগ করতে হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন পদত্যাগীরা। 

একসঙ্গে এতজনের ইস্তফার পরেই ফেসবুকে সরব হন আরও এক বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। "কেন এতগুলো ইস্তফা একসঙ্গে, সেটা রাজ্য বিজেপির খুব গুরুত্ব সহকারে বিচার-বিশ্লেষণ করা উচিত" বলেই মন্তব্য করেন তিনি। 

এক্ষেত্রে বিজেপি কীভাবে এই 'ঘরোয়া বিবাদ' সামাল দেবে, এখন সেই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে বিভিন্নমহলে। এই বিষয়ে দলের নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে (Shamik Bhattacharyya) প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "বিজেপির মতো একটা রাজনৈতিক দলের কাছে এটা নিঃসন্দেহে অনভিপ্রেত। তবে যাঁরা কালকে এই কথা বলছেন, কোন পরিস্থিতিতে তাঁরা এই কথা বলেছেন, সেটা যেমন দল দেখবে, তেমনই তাঁরাও জানেন যে তাঁরা যেভাবে বলেছেন সেটা দলের পদ্ধতি নয়। এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। দল এটার মিমাংসা করবে। যাঁদের নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাঁরা বিজেপিতেই আছেন। দল থেকে পদত্যাগ করবার কোনও বিষয় কোথাও নেই।" এখন দেখার বাস্তবেই এই 'ড্যামেজ কন্ট্রোল' করতে পারে কিনা পদ্মশিবির।

Advertisement

আরও পড়ুন'যাদবপুরের কোন টিচারের কলার ধরতে হবে?' অডিও ভাইরাল


 

Advertisement