তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যপাল বিবাদ। মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করার ভাবনা শুরু হয়েছে বলে দিন কয়েক আগে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসু (Bratya Basu)। রবিবার তার জবাব দিলেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। তিনি বলেন,''মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করব বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। আচার্য কেন মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপালও করে দিন।''
অতিসম্প্রতি রাজ্য়ের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আচার্য জগদীপ ধনখড়। উপাচার্যদের ডেকে পাঠান। তার পর lরাজ্য়পাল অভিযোগ করেন, উপর্যুপরি ডাকেও উপাচার্যরা সাড়া দিচ্ছেন না। এই পরিস্থিতির জন্য শাসক দলকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। রাজ্যপালের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান,''সংবিধান খতিয়ে দেখব। দরকারে আইনজ্ঞদের পরামর্শ দেব। জানতে চাইব, অন্তবর্তী সময়ের জন্য রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসতে পারি কিনা।''
এ দিন দার্জিলিং যাওয়ার পথে বাগডোগরায় রাজ্যপাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। শিক্ষাক্ষেত্রে অরাজকতার অভিযোগ করেছেন ধনখড়। তাঁর কথায়,''কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি আমাকে। সাংবিধানিক অরাজকতা বরদাস্ত করব না। রাজ্যপালকে এড়িয়ে উপাচার্য নিয়োগ হতে পারে? দেশে কোথাও এটা হয় না। এখানে দেড়জন নিয়োগ হয়েছে। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে ফের নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্যপালের অনুমতি নেওয়া হয়নি। কোনও কমিটি গড়া হয়নি। এটা ভুল।''
আরও পড়ুন- ক্ষোভে বিদ্রোহ ৫ মতুয়া BJP বিধায়কের, দিল্লিতে শান্তনু
উপাচার্যদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ''সরকারকে বলেছি, যতগুলি নিয়োগ রাজ্যপালের অনুমতি না নিয়ে করা হয়েছে সেগুলি খতিয়ে দেখুন। নইলে আমাকে কঠিন পদক্ষেপ করতে হবে। আমি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাই না। আমাকে বাধ্য করবেন না।''এরপরই ব্রাত্যর উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, শিক্ষামন্ত্রী বলছেন মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করব। আপনি মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য কেন রাজ্যপালও করে দিন।
আরও পড়ুন- সুব্রত-শান্তনু ঠাকুর যোগ দিক TMC-এ, আহ্বান মতুয়ানেত্রী মমতার