scorecardresearch
 

স্বস্তি সুকন্যার, হাজিরা-টেটের কাগজপত্র জমার নির্দেশ প্রত্যাহার হাইকোর্টের

সুকন্যা মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ,  TET পাশ না করেই প্রাইমারি টিচারের চাকরি পেয়েছেন তিনি। আর শুধু সুকন্যাই নন, টেট পাশ না করেই চাকরি পেয়েছেন মোট ৬ জন। তাঁরা হলেন অনুব্রত মণ্ডলের ভাই সুমিত মণ্ডল, অনুব্রতর পার্সোনাল অ্যাসিস্টান্ট অর্ক দত্ত, তাঁর ভাইপো সাত্যকি মণ্ডল এছাড়াও অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ কস্তুরী চৌধুরি ও সুজিত বাগদি।

Advertisement
সুকন্যা মণ্ডল ও অনুব্রত মণ্ডল সুকন্যা মণ্ডল ও অনুব্রত মণ্ডল
হাইলাইটস
  • আদালতে স্বস্তি সুকন্যা মণ্ডলের
  • প্রত্যাহার করা হল নির্দেশ
  • পাল্টা প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের

অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের স্বস্তি। হাজিরা ও টেটে পাশের সার্টিফিকেট পেশ করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নিল হাইকোর্ট। এরপরেই হাইকোর্ট থেকে বেরিয়ে যান সুকন্যা মণ্ডল। তবে এদিনও সংবাদমাধ্য়মের সামনে একেবারে চুপ ছিলেন তিনি। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মূল মামলার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হলফনামা গ্রহণযোগ্য নয়। আর সেই কারণেই এই দুটি নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। 

বুধবারই এই মামলায় অতিরিক্ত হলফনামা পেশ করা কলকাতা হাইকোর্টে। যার প্রেক্ষিতে সুকন্য মণ্ডল (Sukanya Mondal) সহ মোট ৬ জনকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আজ সেই হলফনামাই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি। প্রত্যাহার করা হয় দুটি নির্দেশও। এদিকে এদিন আদালতে ঢোকার সময় 'গরু চোর' কটাক্ষ শুনতে হয় সুকন্যাকে। যদিও তিনি যখন আদালত থেকে বের হন, তখন আরও জোরদার করা হয় পুলিশি নিরাপত্তা। 

প্রসঙ্গত সুকন্যা মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ,  TET পাশ না করেই প্রাইমারি টিচারের চাকরি পেয়েছেন তিনি। আর শুধু সুকন্যাই নন, টেট পাশ না করেই চাকরি পেয়েছেন মোট ৬ জন। তাঁরা হলেন অনুব্রত মণ্ডলের ভাই সুমিত মণ্ডল, অনুব্রতর পার্সোনাল অ্যাসিস্টান্ট অর্ক দত্ত, তাঁর ভাইপো সাত্যকি মণ্ডল এছাড়াও অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ কস্তুরী চৌধুরি ও সুজিত বাগদি। বোলপুরে কালিকাপুর বিদ্যালয়ে চাকরি পান অনব্রত মণ্ডলের মেয়ে। কিন্তু অভিযোগ, কোনওদিনই বিদ্যালয়ে যাননি তিনি। নেননি ক্লাসও। বরং স্কুল থেকে কোনও একজন আধিকারিক শিক্ষকদের হাজিরার খাতা নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে হাজির হতেন। আর সেই খাতায় সই করে দিতেন সুকন্যা। স্কুলে না গিয়েই বেতন তুলতেন তিনি। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তাঁকে আদালতে হাজিরা ও টেটের কাগজ পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। 

এদিকে এই বিষয় কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) মন্তব্য, "যে হলফনামা গতকাল এত গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে জেলা পুলিশ সুপারকে দিয়ে তাঁদের আনাতে হল, আর আজ সেই হলফনামা এতটাই গুরুত্বহীন হয়ে গেল যে হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার হল। তাঁরা আদালতের নির্দেশ মেনে এলেন, কিন্তু আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ পেলেন না। আমরা কাউকে সমর্থন বা ডিফেন্ডের মধ্যে ঢুকছি না। কিন্তু যদি কোথাও দেখা যায় কোনও ব্যক্তিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের আগে সামাজিকভাবে অপদস্থ করা চেষ্টা হয় তাহলে সেটা চূড়ান্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং মহামান্য আদালতের কাছে সেটা কাম্য হতে পারে না।" 

Advertisement

আরও পড়ুনঅফিসে বসে ঘুম পায়? এই ৪ উপায়ে নিমেষে কাটবে ঝিমুনি


 

Advertisement