scorecardresearch
 

'বিজেপিকে আর সমর্থন নয়', ঘোষণা শান্তনু ঘনিষ্ঠ শীর্ষ মতুয়া নেতার

ক্ষোভে শনিবার বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন পাঁচ মতুয়া বিধায়ক- গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী এবং কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়।

Advertisement
শান্তনু ঠাকুর ও নরেন্দ্র মোদী - ফাইল ছবি। শান্তনু ঠাকুর ও নরেন্দ্র মোদী - ফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • রাজ্য ও জেলার সংগঠনে ব্যাপক রদবদল করেছে বঙ্গ বিজেপি।
  • অথচ কোনও কমিটিতে মতুয়া প্রতিনিধি নেই!
  • ক্ষোভে শনিবার বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন পাঁচ মতুয়া বিধায়ক।

শনিবার বিজেপি অন্দরে বিদ্রোহ করেছেন পাঁচ মতুয়া বিধায়ক। এবার রবিবার অলইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্রনাথ গাইন ফেসবুকে লিখলেন,'মতুয়াদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। তৈরি থাকুন। আগামী দিনে মতুয়ারাও বঞ্চিত করার ক্ষমতা রাখে।' গত লোকসভা ভোট, পরবর্তীকালে বিধানসভা ভোটে বিজেপির ইভিএমেই গিয়েছিল সিংহভাগ মতুয়া ভোট। এ দিন গেরুয়া শিবিরের নাম না নিয়ে সুখেন্দ্রনাথ ফেসবুকে লিখেছেন,'অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ আর নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবে না।'  

রাজ্য ও জেলার সংগঠনে ব্যাপক রদবদল করেছে বঙ্গ বিজেপি। অথচ কোনও কমিটিতে মতুয়া প্রতিনিধি নেই! এমনকি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি করা হয়েছে অ-মতুয়া রামপদ দাসকে। সেই ক্ষোভে শনিবার বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন পাঁচ মতুয়া বিধায়ক- গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী এবং কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়। অন্যদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করার জন্য দিল্লি গিয়েছেন মতুয়া বাড়ির ছেলে তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বিধায়ক-বিদ্রোহের নেপথ্যে তিনিই আছেন বলে মনে করছেন অনেকে। রবিবার আবার সুর চড়ালেন শান্তনু ঘনিষ্ঠ অলইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্রনাথ।         

ফেসবুক পোস্টের নিশানায় যে বিজেপি পরে সাংবাদিকদেরক তা বুঝিয়ে দিয়েছেন সুখেন্দ্রনাথ গাইন। তিনি বলেন,''সাংগঠনিকভাবে সব জানাব। ২০১৮ সালের পর মতুয়ারা আশায় বুক বেঁধেছিল। ১১ দফা দাবি পেশ করেছিলাম। এর মধ্যে ছিল  নিঃশর্ত নাগরিকত্ব, হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা, মরণোত্তর রাষ্ট্রীয় সম্মান ও বড় মন্দির। বিজেপিকে সমর্থন করেছিলাম। লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে ৬০ শতাংশ মতুয়ারা ভোট দিয়ে জয়ী করেছিল বিজেপিকে। ভেবেছিলাম মতুয়াদের রাজনৈতিক জায়গা দেওয়া হবে। অথচ মতুয়ারা বঞ্চিত হচ্ছে। সিএএ শুরু হয়নি। এমতাবস্থায় মতুয়ারা অসহায়। যে আশায় সমর্থন করেছিলাম নির্দিষ্ট দলকে তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।''

Advertisement

এ কথা অনস্বীকার্য উত্তর ২৪ পরগনা ও পার্শ্ববর্তী জেলায় মতুয়া ভোট ফারাক গড়ে দিতে পারে। পরিবর্তনের পর মতুয়া বাড়ির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। পরে তাতে ভাগ বসায় বিজেপি। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে শান্তনু ঠাকুরকে প্রার্থী করে গেরুয়া শিবির। প্রচারে এসে ঠাকুরবাড়িতে এসেছিলেন মোদী। তখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১১ দফা দাবি পেশ করেন মতুয়ারা। কিন্তু একটাও আশ্বাস পূরণ হয়নি বলে দাবি করেছেন সুখেন্দ্রনাথ। 

আরও পড়ুন-ক্ষোভে বিদ্রোহ ৫ মতুয়া BJP বিধায়কের, দিল্লিতে শান্তনু 

বলাইবাহুল্য় বিজেপির সঙ্গে শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের দূরত্ব বাড়ছে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুব্রত ও শান্তনুকে দলে টানতে নেমে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। দু'জনকে তৃণমূল যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন মমতাবালা ঠাকুর। বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বলেছেন,''বিজেপির  প্রতি মোহভঙ্গ হয়েছে মানুষের। সেটা বুঝতে পেরে বিজেপি বিধায়করা দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন।''  

আরও পড়ুন- আচার্য কেন! মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্য়পাল করে দিন, কটাক্ষ ধনখড়ের  

 

Advertisement