scorecardresearch
 

শোভনকে নিয়ে যেতে চান বৈশাখী, 'হাসপাতালে তো মধুচক্র চলছে', বিস্ফোরক কুণাল

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসা ঠিকমতো হচ্ছে না। সেকারণে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে চান বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কোনও কারণ ছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা দিলেন কুণাল ঘোষ।

Advertisement
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষ
হাইলাইটস
  • শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে তরজা তুঙ্গে
  • বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেনজির আক্রমণ কুণাল ঘোষের
  • পাল্টা দিলেন বৈশাখীও

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসা ঠিকমতো হচ্ছে না। সেকারণে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে চান বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কোনও কারণ ছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজই এসএসকেএম-হাসপাতাল ও প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে ৫টি চিঠি পাঠিয়েছেন শোভনের আইনজীবী। 

শোভনের আইনজীবী প্রতিমপ্রিয় দাশগুপ্ত জানিয়েছেন তাঁর মক্কেল আর হাসপাতালে থাকতে চান না। কারণ তিনি সুস্থ। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ছাড়তে চাইছে না। 

এনিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,শোভনবাবু সিরোসিস লিভারে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে ছড়াচ্ছে কেউ বা কারা। অথচ তাঁর কোনও টেস্টই হয়নি। তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কীভাবে বলল যে উনি আক্রান্ত? বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, শোভনবাবুর যে অসুখগুলি রয়েছে সেগুলি আট বছর আগে থেকেই। নতুন কোনও সমস্যা সামনে আসেনি।  করোনা পরিস্থিতিতে তাঁকা হাসপাতালে রাখা রিস্ক। শোভনের ডায়াবিটিস রয়েছে। তিনি অস্থির হয়ে পড়ছেন। করোনার ভয়ও রয়েছে। আমরা চাই, উনি হাউস অ্যারেস্টে থাকুন। এতে চিকিৎসা অনেক ভালো চলবে। আর আমরা ওঁকে বাইরেও কোথাও চিকিৎসা করাতে পারি। এখন উনি সুস্থ আছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ না ছাড়ার কারণে বেশি করে অসুস্থ হচ্ছেন। খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। 

আরও পড়ুন : ভোকাল কর্ডে টিউমার, কথা বলতে পারছেন না মদন মিত্র!

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও অভিযোগ, কেউ বা কারা শোভনবাবুকে বাড়ি নিয়ে যেতে দিচ্ছেন না। এর পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত আছে। তাঁর কথায়, 'কখনও বলা হচ্ছে, আমার সাথে যেতে দেওয়া হবে না। কখনও বলা হচ্ছে ছাড়া হবে না। প্রতি মুহূর্তে আমাদের অপদস্থ করার চেষ্টা চলছে। হাইকোর্ট তো নির্দিষ্ট করে দেয়নি যে, কোন বাড়িতে শোভনবাবুকে যেতে হবে। তাহলে বাকিদের এত মাথা ব্যথা কেন?' 

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায় নাম না করলেও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে হাসপাতাল থেকে না ছাড়ার পিছনে যে তৃণমূলের হাত আছে, তা আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এই নিয়ে রাজ্যের শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'বৈশাখীদেবী যাত্রাপালা শুরু করেছেন। শোভনবাবু প্রেসিডেন্সে জেলে থাকাকালীনই তো হাসপাতালে ভর্তি হন। বলেন তিনি অসুস্থ। তাহলে এখন তো তাঁকে হাসপাতালের কথা মতোই চলতে হবে। একজন মহিলার কথা মতো তো আর হাসপাতাল চলবে না। রোগীর পরিস্থিতি বিবেচনা করে হাসপাতাল সিদ্ধান্ত নেবে।' বৈশাখীদেবীকে আক্রমণ করে তাঁর আরও সংযোজন, 'হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কি মধুচক্রের আসর বসাচ্ছে?  উনি এঘর সেঘর করছেন। কেন? আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাব, বাইরের কাউকে যেন হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া না হয়।'

Advertisement

আরও পড়ুন : Black Fungus-এর শিকার হয়েছেন, কীভাবে বুঝবেন? জানাল রাজ্য

কুণাল ঘোষকে পাল্টা আক্রামণ করেন বৈশাখীদেবীও। আজতক বাংলাকে বলেন, 'আমি যদি মধুচক্র চালিয়েই থাকি তাহলে তো দোষী তৃণমূলের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও নেতা মদন মিত্রও। তাঁদের সঙ্গে কথা বলা কি মধুচক্র চালানো হল? তাহলে কি কুণালবাবু বলছেন যে, তাঁর দলের নেতারাও মধুচক্রের সঙ্গে জড়িত?' 

এদিকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যয়কে কটূ মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। উডবার্ন ওয়ার্ডের বারান্দা থেকে তিনি বলেন, 'আমি এখন সুস্থ, তাও অসুস্থ দেখানোর চেষ্টা চলছে। এটা চক্রান্ত। জোর করে আটকে রাখা হচ্ছে। আর যিনি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়য়কে আক্রমণ করেছেন, তাঁকে বলব একবার নিজের দিকে চেয়ে দেখুন। আপনার মুখে এসব কথা মানায় না।' 

 

Advertisement