রাজ্যে কোভিডের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে নবান্ন। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে রা কাড়েনি। এই আবহে মেলা বন্ধ করার দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।
গঙ্গাসাগর মেলা বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা করেছেন পেশায় চিকিৎসক অভিনন্দন মণ্ডল। তাঁর আবেদন, কোভিড পরিস্থিতিতে পুণ্যার্থীরা যাতে মেলায় ভিড় না করেন সেই নির্দেশ দিক আদালত। মামলাকারীর বক্তব্য, প্রায় ৩০ লক্ষ জনসমাগম হয় এই মেলায়। এত মানুষ জড়ো হলে ভেঙে পড়বে জনস্বাস্থ্য। জনসমুদ্রে কোভিডবিধি মেনে চলা অসম্ভব। দূরত্ব মানা সম্ভব হবে না। ফলে বাড়বে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা। কুম্ভ মেলায় যেভাবে অনেকে সংক্রামিত হয়েছিলেন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে গঙ্গাসাগরে।
নিজে চিকিৎসক হিসেবে দ্বিতীয় ঢেউয়ে রাজ্যের মানুষের চরম ভোগান্তি দেখেছিলেন অভিনন্দন মণ্ডল। তাঁর আশঙ্কা, সাগর মেলায় সংক্রমণ ছড়ালে তা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়বে। এই বিপুল মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না। এই পরিস্থিতিতে আদালতকে যথাবিহিত পদক্ষেপ করতে হবে বলে আর্জি করেছেন আবেদনকারী।
জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী সূর্যনীল দাস জানান, ৫ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন- নববর্ষের উপহার, ৩২ লক্ষ অ্য়াকাউন্টে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত দেবে কেন্দ্র
রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেই সঙ্গে ওমিক্রনের আশঙ্কা। রবিবার রাজ্যজুড়ে বিধিনিষেধ জারি করেছে নবান্ন। রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চলবে নৈশ কার্ফু। লোকাল ট্রেন সন্ধে ৭টা পর্যন্ত চালানোর কথা ঘোষণা করা হয়। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সোমবার বিকেলে বিভিন্ন স্টেশনে মানুষের ভিড় দেখে ওই সময়সীমা বাড়িয়ে ১০টা পর্যন্ত করা হয়। পাশাপাশি রাজ্য়ে শপিংমল, স্যালোঁ, বিউটি পার্লার, জিম, সুইমিংপুলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে নির্দেশিকায় কোনও উল্লেখ নেই। ধরে নেওয়া হচ্ছে, মেলায় আপত্তি নেই সরকারের। রাজ্যের এই অবস্থানের পরই হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন জনস্বার্থ মামলাকারী।
আরও পড়ুন- এক নির্দেশে পৃথক সিদ্ধান্ত! ট্রেন ছাড়ার আলাদা নিয়ম পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে