'দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ' শ্যুটিং-স্মৃতি টেনে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন রূপা

রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "বর্তমানে বাংলায় জনগণনের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলার নামে শুধুমাত্র হাইকোর্টই রয়েছে। তৃণমূলের (TMC) লোকেরা বোমা মারছে। নিজেদের মধ্যে মারমারি করে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে। বিজেপি (BJP) সমর্থকদের মেরে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং লিখে দেওয়া হচ্ছে এটা বিজেপিকে সমর্থনের ফল। আর তারপরেও যদি তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে সময় বেঁচে থাকছে তাহলে তাঁরা মহিলাদের ধর্ষণ করছে।" 

Advertisement
'দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ' শ্যুটিং-স্মৃতি টেনে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন রূপারূপা গঙ্গোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • ধর্ষণ নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা রূপার
  • টানলেন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের প্রসঙ্গ
  • শেয়ার করলেন শ্যুটিংয়ের সময়কার স্মৃতি

পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের ওপরে নির্যাতনের ঘটনার প্রেক্ষিতে মহাভারতের দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের প্রসঙ্গ টানলেন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (BJP MP Roopa Ganguly)। বুধবার রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "ওই ৮ দিন আমি ওর মধ্যেই বেঁচে ছিলাম। প্রকাশ্য সভায় আমায় বিবস্ত্র করা হচ্ছে ও সবাই দেখেছ-হাসছে। সবাই মনে করেন ওই অভিনয়টা খুব ভাল ছিল। কিন্তু সেটা অভিনয় ছিল না। ওই ৮ দিনের মধ্যে এমন একদিনও ছিল না যেদিন আমি হোটেলে ফিরে ফুঁপিয়ে কদিনি। তাহলে পশ্চিমবঙ্গে যাঁদের ওপরে এই ঘটনা ঘটছে তাঁরা কীভাবে বেঁচে রয়েছেন তা ভেবে দেখতে হবে।" 

রূপা গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, "বর্তমানে বাংলায় জনগণনের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলার নামে শুধুমাত্র হাইকোর্টই রয়েছে। তৃণমূলের (TMC) লোকেরা বোমা মারছে। নিজেদের মধ্যে মারমারি করে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে। বিজেপি (BJP) সমর্থকদের মেরে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং লিখে দেওয়া হচ্ছে এটা বিজেপিকে সমর্থনের ফল। আর তারপরেও যদি তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে সময় বেঁচে থাকছে তাহলে তাঁরা মহিলাদের ধর্ষণ করছে।" 

হাঁসখালিকাণ্ডের (Hanskhali Rape Case) প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রূপা বলেন," নদিয়ার যে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে তাকে প্রথমে বলা হল গর্ভবতী। সে যখন চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেল, তখন তার দেহটি তৃণমূলের গুন্ডারা পুড়িয়ে দিল এবং তার পরিবারকে কোনও ডেথ সার্টিফিকেটও দেওয়া হল না।" এদিন বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবিও জানান এই বিজেপি সাংসদ। তাঁর মতে, "রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে তবেই বাংলার মানুষ সুরক্ষিত হবেন।"

আরও পড়ুনহাঁসখালিতে 'ধর্ষিত' নাবালিকার বাবা-মা অসুস্থ, নিয়ে যাওয়া হল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে

 

POST A COMMENT
Advertisement