সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফলের পর সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর এবার সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সোমবার দিল্লি যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "সংখ্যালঘু ভোট মুখ্যমন্ত্রী ভেবেছিলেন তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি। এখন সেখান থেকে সরতে শুরু করেছে, মুখ্যমন্ত্রী তাই শিয়রে মেঘ দেখতে পাচ্ছেন"।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা (Sagardighi By Election Result 2023) জেতা আসন হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ওই আসনে জয়ী হয় তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত সাহা। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর, সেই আসনে উপনির্বাচন হয়। তাতে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। সূত্রের খবর, তারপর থেকেই সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে তৃণমলের অন্দরে। পরাজয়ের কারণ জানতে, একটি কমিটিও গড়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। কমিটিতে রাখা হয়, গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, সংখ্যালঘু দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রাব্বানি এবং ত্রাণ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খানকে।
একইসঙ্গে এই সাগরদিঘিতে 'অনৈতিক জোট' হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূল নেত্রী। প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসকে সমর্থন দেয় সিপিআইএম। বারেবারেই এই ফলাফল নিয়ে বিরোধীদের নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে ফোনে বৈঠকও করেন তিনি। বৈঠকে মমতা বলেন, "সাগরদিঘিতে অনৈতিক লড়াই করেছে। লোকটা কার? বিজেপির। প্রার্থী কংগ্রেসের। সমর্থন দিল সিপিএম। আসলে অধীর চৌধুরী আরএসএসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। সাগরদিঘিতে টাকার খেলা চলেছে"। মমতার আরও অভিযোগ,"গোটা জেলা জুড়ে একটা চক্রান্ত চলছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হচ্ছে"। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগে সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে বিরোধীরা। পাল্টা সংখ্যালঘুরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলেই দাবি বিরোধীদের।
আরও পড়ুন - 'অধীর RSS-এর সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন', সাগরদিঘি নিয়ে নিশানা মমতার