শুভেন্দু অধিকারী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুকান্ত মজুমদারের দাবি ছিল, নন্দীগ্রাম থেকেই ভোটে দাঁড়াবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওঁর উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার খুব শখ বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় বালুরঘাটের BJP সাংসদকে। সোমবার মহেশতলায় এই নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন অভিষেককে। তিনি কি সত্যিই নন্দীগ্রাম থেকে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন? জবাবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বড় ইঙ্গিত দেন। জানান, দল চাইলে তিনি নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়তেই পারেন। এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী।
কী জবাব দিলেন শুভেন্দু?
CEO অফিসে এদিন দেখা করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে BLO বাঁচাও কমিটির 'গো ব্যাক' স্লোগানের মুখে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এরপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেই ওঠে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম থেকে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে লড়ার প্রসঙ্গ। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আমি ভাইপোর কোনও কথার কোনও জবাব দেব। নন্দীগ্রাম থেকে আমি পিসিমণিকে হারিয়েছি। ছাব্বিশে মমতা যেন ভবানীপুর থেকেই দাঁড়ান, মেটিয়াবুরুজে আবার চলে না যান। ওখানে আমার কিছু করার নেই। ওটা ISF-কে দেখতে হবে। তাই আমি চাই উনি ভবানীপুর থেকেই দাঁড়ান, ওখান থেকে ওঁকে হারাব।'
অভিষেকের মন্তব্য কী ছিল?
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, 'হয়তো সুকান্ত মজুমদারের এটা গোপন ইচ্ছে, তবে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিষয় তৃণমূলের উপর ছেড়ে দিন। দল আমাকে যেভাবে কাজে লাগাবে, সেভাবে কাজ করব। দল যদি বলে, নন্দীগ্রামে দাঁড়াতে, দাঁড়াব। যদি বলে, দার্জিলিংয়ে দাঁড়াতে, তাহলেও সেটাই করব। অন রেকর্ড বলছি।'
প্রসঙ্গের সূত্রপাত কী থেকে?
সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য ছিল, 'নন্দীগ্রাম থেকেই ভোটে দাঁড়াবেন অভিষেক। সেই কারণেই পুলিশ অফিসারদের নন্দীগ্রামেই বদলি করা হয়েছে।' বালুরঘাটের BJP সাংসদ বলেন, 'আমার কাছে খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবার নন্দীগ্রামের বিধানসভায় দাঁড়াবে। সেই জন্য নিজের অনুগামী অফিসারদের ওই জেলাতে ট্রান্সফার করা হচ্ছে। ওঁর উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার খুব শখ। সেই উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য উনি নন্দীগ্রামের বিধানসভায় দাঁড়াবেন বলে খবর আছে।' পরে যদিও নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে সুকান্ত বলেন, 'আমরা এবার ঠিক করেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানেই দাঁড়াবেন, সেই খানেই হারাব।'
২০২১-এর ফলাফল
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের আসন বদল করে দাঁড়িয়েছিলেন নন্দীগ্রাম থেকে। যদিও রেজাল্টে দেখা যায় ১৯৫৬ ভোটে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের অভিযোগ, লোডশেডিং করিয়ে ষড়যন্ত্র করে হারানো হয়েছে নেত্রীকে।