scorecardresearch
 

Manoranjan Bapari : 'পাঁউরুটির জন্য হাহাকার করেছি, এখন মদ-মাংস জোগাতে পারছি!' বিস্ফোরক মনোরঞ্জন

সাদামাটা জীবনযাপন তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্য়াপারী (TMC MLA Manoranjan Bapari)-এর। বিধায়ক হলেও গাড়ি ব্যবহার করেন না।

Advertisement
মনোরঞ্জন ব্য়াপারী মনোরঞ্জন ব্য়াপারী
হাইলাইটস
  • এক সময় পাঁউরুটি খাওয়ার পয়সা ছিল না
  • এখন মদ-মাংসের টাকা জোগাতে পারছি
  • এমনই মন্তব্য করলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্য়াপারী

এক সময় পাঁউরুটি খাওয়ার পয়সা ছিল না। এখন মদ-মাংসের টাকা জোগাতে পারছি! এমনই মন্তব্য করলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্য়াপারী (TMC MLA Manoranjan Bapari)। ফেসবুকে তিনি এ কথা লিখেছেন। তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

সাদামাটা জীবনযাপন তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্য়াপারী (TMC MLA Manoranjan Bapari)-এর। বিধায়ক হলেও গাড়ি ব্যবহার করেন না। নিজের এলাকা ঘুরে বেড়ান টোটো করে। তাঁর জীবনযাপন নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁদের সমালোচনা করেছেন তিনি। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, মানুষের সমস্যা এঁদের চোখে পড়ে না।

এদিন ফেসবুকে তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্য়াপারী (TMC MLA Manoranjan Bapari) লিখেছেন, "সুপ্রভাত বন্ধুরা। আজ আপনাদের একটা ভাল খবর শোনাব। এই যে আমি আপনাদের মনা ভাই মনা দা , এক সময় আমি সতেরো পয়সা দামের একটা পাঁউরুটির জন্য কত হাহকার করেছি সেই আমি আজকাল অনেক জনের ভা তো তুচ্ছ, মাংস মদের জোগান দিতে পারছি ভেবে পুলকিত হচ্ছি।"

আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনের কাছে গড়ে উঠছে সাংস্কৃতিক উপনগরী 'গীতবিতান'

তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্য়াপারী (TMC MLA Manoranjan Bapari) আরও লিখেছেন, "আমি কেন আমানবিক উচ্চারণ করতে পারিনি, আমি কেন খইনি খাই, আমি কেন সুখ শয্যায় না শুয়ে গামছা বিছিয়ে আমগাছের ছায়ায় শুয়ে পড়েছি,আমি কেন দামি হোটেলে না খেয়ে মা ক্যান্টিনে লাইন দিয়ে "দিম্ভাত" খাই , এই সব নিয়ে খবর করে কিছু জন আজকাল বেশ তেলে ঝোলে থাকছে।"

আরও পড়ুন: নিউটাউনকে COVID সচেতন করবে ড্রোন, উদ্যোগে HIDCO

ফেসবুক (Facebook)-এ তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্য়াপারী (TMC MLA Manoranjan Bapari) আরও লিখেছেন, "আমি ভেবে পাইনা মানুষের কত সমস্যা সে গুলো কী এদের চোখে পড়ে না? পেট্রল ডিজেলের দাম আকাশ ছুতে চলেছে , যার ফলে সমস্ত জিনিসের দাম বাড়ছে,প্রায় আট মাস রোদ শীত উপেক্ষা করে লক্ষ লক্ষ অন্নদাতা কৃষক দিল্লির রাস্তায় বসে আছে সে নিয়ে সংবাদ মাধ্যম নীরব। সময় নেই এদের কাছে সে দিকে চোখ ফেরাবার। এরা ক্যামেরা নিয়ে ঘুরছে আমি কখন কার কাছে হাত পেতে খৈনি চেয়ে নেবো তেমন ছবি তোলবার চেষ্টায়। সাবাস,এই তো চাই।চালিয়ে যাও ভাই। এই ভাবে "একদিন ক্রমমুক্তি" হবে।"

Advertisement

অনুষ্ঠানে সম্বর্ধনা দেওয়ার সময় আরও অনেক জিনিসের সঙ্গে তুলে দেওয়া হয় শাল। তবে জীবন তাঁকে দেখিয়েছে, গামছার মতো বন্ধু কম আছে। শুধু গা-মোছা নয়, তা দিয়ে অনেক কাজই করা যেতে পারে। প্রবল গরম থেকে বাঁচাতে পারে। পুঁটলি বেঁধে আনা যেতে পারে জিনিসপত্র। তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্য়াপারী (TMC MLA Manoranjan Bapari)-এর সম্বর্ধনা সভায় তাঁর অনুরোধ থাকে, শাল নয়, তাঁকে দেওয়া হোক গামছা।

তিনি উদ্বাস্তু পরিবারের সন্তান। দণ্ডকারণ্যে থাকতেন। তাঁর জীবন বিচিত্র অভিমুখে ধাবিত। দিন বদলের আশায় বাবার হাত ধরে কলকাতায় আসা।  তখন থাকতেন যাদবপুরে। তবে পরিবর্তন কিছু হয়নি। ফলে ফিরে যেতে হল দণ্ডকারণ্যে। পরে আবার আসতে হবে কলকাতায়।

থাকার জায়গা নেই। ফলে রাত কাটাতে হয়েছে রেল স্টেশনে। ১৯৭২-৭৭ সালে রাজ্যে যে রাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল, সেখানে জড়িয়ে পড়েন তিনি। যেতে হয়েছিল জেলের মেঝেতেই চকখড়ি দিয়ে বর্ণমালার শুরু হয়। এবং সেই সময় পান জীবনের পরম সঙ্গীকে। সেটি হল গামছা। তা দিয়ে শুধু ঘাম মোছা যায়, এমন তো নয়। আরও অনেক কাজে লাগে।

 

Advertisement