ভোট-সন্ত্রাসের অভিযোগে সোমবার বাংলা বনধ ডাকল বিজেপি। বনধ চলবে সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। দিনভর ১০৮ পুরসভার ভোটে ঘটনার ঘনঘটা। বিরোধী প্রার্থীদের মারধর, ভোট লুঠের অভিযোগ উঠেছে। ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হতেই বাংলা বনধের ঘোষণা করল গেরুয়া শিবির। নির্বাচনকে বাতিল করার দাবি করেছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন,'রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে বরখাস্ত করে পুনর্নির্বাচন করতে হবে।'
রবিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান,'পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে আগেভাগে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য বনধ আবশ্যক। বিজেপি কর্মীরা সোমবার রাস্তায় নামবেন। সেই সঙ্গে বাংলার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকেও আহ্বান করছি, আসুন প্রতিবাদে সামিল হোন।'
বাকি বিরোধীদেরও বনধকে সফল করার জন্য আহ্বান করেছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়,'নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে বাংলায়। ১০৮ পুরসভার ভোটে যে ছবি দেখলাম তা ভারতের ইতিহাসে কালো অধ্যায়ে লেখা থাকবে। রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধে উঠে দলমত নির্বিশেষে সকলকে আহ্বান করছি। বাংলার গণতন্ত্রকে বাঁচাতে সমর্থন করুন।'
বিজেপির বনধ প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন,'আমাদের ক্ষমতা থাকলে আমরাও বনধ ডাকতাম।' এনিয়ে সুকান্তর বার্তা, যা যেমন ক্ষমতা সেটা নিয়েই বনধে সামিল হতে পারেন। দরকারে দলীয় পতাকা প্রতিবাদ করুন।
সবটাই বিরোধীদের চক্রান্ত বলে বোঝাতে চেয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,'যাঁদের ক্ষমতা নেই তাঁরাই বনধ ডাকে। আবার চক্রান্তের চেষ্টা চলছে। বাংলার উন্নয়নের গতিকে থমকে দিতে চাইছে। ঠান্ডা ঘরে বসে বনধ ডাকছেন।'
আরও পড়ুন- Election: পুরভোটে জেলায় জেলায় অশান্তি, আক্রান্ত পুলিশও; একনজরে রাজ্যের পুরভোট