অ্যামাজনের রেইনফরেস্টে (Amazon Rainforest) লেজার প্রযুক্তি (Laser Technique) ব্যবহার করে বিশালাকার পিরামিড এবং জলপথ দিয়ে সজ্জিত ১১টি অজানা বস্তির ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে যে বিজ্ঞানীরা হেলিকপ্টার-মাউন্টেড লিডার ইমেজিং প্রযুক্তিন (Helicopter-mounted lidar imaging technology) ব্যবহার করে বলিভিয়ার অ্যামাজনের লানোস ডি মোজোসের ৪,৫০০-বর্গ-কিলোমিটার এলাকা ম্যাপ করেছেন। ভিতরে ছয়টি জায়গা পরীক্ষা করেছেন। সব মিলিয়ে তাঁরা কোটোকা এবং ল্যান্ডিভার নামে দুটি নতুন বস্তি এবং ২৪টি ছোট সাইট আবিষ্কার করেছেন। তার মধ্যে মাত্র ১৫টির বিষয়ে আগে থেকেই তথ্য ছিল।
খাল ও জলাশয়গুলি দেখা গিয়েছে
বস্তিগুলিতে কেবল কুঁড়েঘরই ছিল না, বড় সংখ্যায় মানুষও বসবাস করত। কোটোকা এবং ল্যান্ডিভারের মতো বৃহত্তর জনবসতিগুলিতে, গবেষক দলটি বিশাল প্ল্যাটফর্ম-সদৃশ্য ঢিবি এবং শঙ্কু-আকৃতির পিরামিডগুলি আবিষ্কার করেছে। সেগুলির দৈর্ঘ্য ৭২ ফুট পর্যন্ত ছিল
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই বস্তিগুলি ৫০০ CE থেকে ১,৪০০ CE-এর মধ্যে ছিল। আগে মনে করা হত, অ্যামাজনের রেইনফরেস্ট এত ঘন ছিল যে প্রাক-কলম্বিয়ান সময়ে বড় আকারের মানব বস্তি গড়ে তোলা কার্যত অসম্ভব ছিল। তবে গত কয়েক বছরে হওয়া আবিষ্কার সেটিকে ভুল প্রমাণিত করেছে।
কারণ এই রেইন ফরেস্টগুলি একসময় ঘন বসতিতে পূর্ণ ছিল। গবেষকরা বলছেন, তাঁদের গবেষণার ফলাফল অনুসারে, প্রাক-হিস্পানিক যুগে পশ্চিম অ্যামাজনিয়ার জনসংখ্যা খুবই কম ছিল।
এর মধ্যে অনেক আবিষ্কারই হয়েছে লিডারের মাধ্যমে। এই প্রযুক্তিটি ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে ডেভলপ হয়েছিল। এই লেজার-ভিত্তিক ইমেজিং কৌশলটি প্রত্নতাত্ত্বিকদের দীর্ঘদিনের হারিয়ে যাওয়া বস্তি খুঁজে পেতে সহায়তা করেছে।
আরও পড়ুন - একরত্তিকে দেখেই উৎফুল্ল বাবা, স্ত্রীকে স্নেহের ছোঁয়া জিরাফের, Viral Video