scorecardresearch
 
Advertisement
বিশ্ব

পৃথিবীর কেন্দ্র এগোচ্ছে একটি কোণের দিকে, এশিয়ার ঠিক নীচে!

ইনার কোর
  • 1/15

পৃথিবীর সবথেকে ভিতরের অংশ যাকে 'ইনার কোর' বলা হয় ক্রমশ তা একদিক থেকে বিকশিত হয়েই চলেছে। যা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই পরিবর্তনের জেরে আমাদের জীবনযাপন ও পৃথিবীর ওপর কী প্রভাব পড়বে তা সকলেরই অজানা। পৃথিবীর ভূমিপৃষ্ঠের প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটার নীচে অবস্থান করছে 'ইনার কোর'। ১৯৩৬ সালে প্রথম 'ইনার কোর'-র খোঁজ মেলে। তার আগে বিষয়টি অজানাই ছিল। (ফটো: গেটি)

আশ্চর্যের
  • 2/15

আশ্চর্যের বিষয় হল প্রায় ১০০ বছর ধরে গবেষণার পরও বিজ্ঞানীরা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি এটি কবে বা কীভাবে তৈরী হয়েছে। এর রহস্য উদ্ঘাটন করতে বিশ্বের তাবড় তাবড় সিসমোলজিস্ট অর্থাৎ ভূকম্পবিদ, মিনারেল ফিজিজিস্ট বা খনিজ পদার্থবিদ এবং জিওডাইনেমেসিস্টরা গবেষণা চালাচ্ছেন। ভূকম্পনের গতিবিধি, তরঙ্গ এবং খনিজের ভৌত বিজ্ঞান সম্বন্ধীয় বিষয় নিয়ে অধ্যয়ন করে পৃথিবীর ইনার কোরের বিষয়ে জানার চেষ্টা  চালানো হচ্ছে।

পৃথিবীর
  • 3/15

পৃথিবীর ইনার কোর লোহার তৈরি বলে জানা গেছে। বিশ্বের বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিকেরা নতুন একটি পর্যবেক্ষণ করেন। যাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই ইনার কোরই নাকি দিন দিন বিকশিত হচ্ছে। তবে চিন্তার বিষয় এই যে, শুধু একদিকেই তা ফুলে যেতে দেখা যাচ্ছে। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এতে ইনার কোরের সৃষ্টি, বয়সকালের সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যেতে পারে। এমনকি পৃথিবীর চুম্বকীয় শক্তির ইতিহাসও জানা যেতে পারে। নেচার জার্নালে প্রকাশিত পর্যবেক্ষণের স্টাডি অনুযায়ী, এই তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, ইনার কোর এক অংশ বেড়েই চলেছে। তবে তা কেন বা কীভাবে? এর ফল কী হতে পারে তা বিজ্ঞানীদের সম্পূর্ণ অজানা।

Advertisement
প্রায়
  • 4/15

প্রায় ৪৫০ বছর আগে পৃথিবীর সৃষ্টি হয়। যার কেন্দ্র প্রায় ২০ কোটি বছর আগে সৃষ্টি হওয়া শুরু হয়েছিল। যার ফলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব পড়তে থাকে। এর ওপর পাথুরে এবং সিলিকেট খনিজের আবরণ তৈরি হয়।

পৃথিবীর
  • 5/15

পৃথিবীর সৃষ্টির সময় উত্তপ্ত হতে শুরু করে। পাশাপাশি রেডিওঅ্যাক্টিভ প্রক্রিয়া পৃথিবীকে অনেকটা ঠান্ডা করতেও সাহায্য করে। এখন পৃথিবীর যে রূপ, তা তৈরি হতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। পৃথিবী ধীরে ধীরে ঠান্ডা হওয়ার সময়ই লোহা গলে তরল রূপ নেয়। যে কারণে তরল লোহার আবরণ তৈরি হয়ে যায়। যার ফলে পৃথিবীতে চুম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি হয়। 

পৃথিবী
  • 6/15

পৃথিবী ঠান্ডা হওয়ার পর টেকটনিক প্লেটস গুলি আরও শক্তিশালী হয়ে পড়ে। যা ভাঙা গড়ার পর পৃথিবীতে মহাদ্বীপগুলি তৈরি হয়। ধীরে ধীরে পৃথিবী আরও ঠান্ডা হতে শুরু করে। তাপমাত্রা এতই কম হতে থাকে যে লোহা গলতে গলতে একটি জায়গায় গিয়ে স্তিমিত হয়ে পড়ে। ভূমির ওপরের চাপ নিতে সক্ষম হয়ে যায় এই স্তরটি। এরই সঙ্গে শুরু হয় ইনার কোরের ক্রিস্টালাইজেশন।

এরপরই
  • 7/15

এরপরই পৃথিবীর ইনার কোরের দৈর্ঘ্য প্রত্যেক বছর ১ মিলিমিটার করে বাড়তে শুরু করে। অর্থাৎ ৮০০০ টন কঠিন লোহা জমাট বাঁধছে। লোহা জমাট বাঁধতে বাঁধতে ভবিষ্যতে তা কঠিন আকার নিয়ে নেবে। যার জেরে হারিয়ে যেতে পারে পৃথিবীর চুম্বকীয় শক্তি। এরপর কী হবে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ?

Advertisement
তবে
  • 8/15

তবে চিন্তার বিষয় হল কঠিন লোহা জমাট বাঁধছে শুধু একদিক থেকেই। ভুমম্পনবিদেরা ১৯৯০ সালে লক্ষ্য করেন অসমানভাবে এর আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে পৃথিবীর একাংশে এই পরিবর্তন হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইনার কোরের
  • 9/15

ইনার কোরের পশ্চিমাংশে এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা জেনে স্তম্ভিত হয়ে যাবেন, যে ইনার কোরের পূর্বাংশে অবস্থান করছে এশিয়া ও ভারত মহাসাগর। আর পশ্চিমাংশে আমেরিকা, আটলান্টিক মহাসাগর ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের তলায় রয়েছে।  

পর্যবেক্ষণে
  • 10/15

পর্যবেক্ষণে আরও জানা গেছে, পূর্ব ইনার কোরের ইন্দোনেশিয়ার বান্দা সাগরের নীচ বরাবর সবথেকে বেশি আকারে বাড়ছে। ব্রাজিলের তলায় অবস্থিত পশ্চিম ইনার কোর তুলনায় ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কিন্তু
  • 11/15

কিন্তু এই পরিবর্তনের ফলে কী হতে পারে? উদাহরণস্বরূপ ফ্রিজের একাংশে বেশি বরফ ও আরেকাংশে কম বরফ জমা হলে তাপমাত্রার তারতম্য দেখা যাবে। একদিকে অতিরিক্ত ঠান্ডা আরেকদিক গরম হয়ে পড়বে। ঠিক তেমনই এক্ষেত্রেও তাই হতে পারে। শুধু তাই নয় কঠিন লোহা জমাট বেধে চুম্বকীয় ক্ষমতা হারিয়ে যেতে পারে। কিংবা পৃথিবীর সেই অংশে প্রলয় আসতে পারে।

Advertisement
মনে করা
  • 12/15

মনে করা হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া সহ এশিয়ার কিছু অংশে চুম্বকীয় শক্তি একেবারে নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে। যারফলে মানুষ, জীবজন্তুকে শূন্যে ভাসতে দেখা যেতে পারে। সমুদ্রের প্রাণীরা এক দিক থেকে আরেক দিকে চলে যেতে পারে। তবে এইমুহূর্তে চিন্তার কোনও কারণ নেই। প্রায় হাজার বছর পর এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেতে পারে।

বিজ্ঞানীরা
  • 13/15

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, প্রায় ৫০ থেকে ১৫০ কোটি বছর লাগতে পারে এই পরিবর্তনের। যদিও ৫০ কোটি বছর লাগার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। যদিও, ১৫০ কোটি বছর পর এর চুম্বকীয় শক্তি বাড়ার প্রমাণও মিলেছে।

যদি ইনার
  • 14/15

যদি ইনার কোরের আকার গোল না হয়ে অন্য আকার নেয় কিংবা এক জায়গায় চুম্বকীয় শক্তি কমে যায় তবে কী হবে? তবে জানিয়ে রাখা ভাল, সৌরমন্ডলে এমন অনেক গ্রহই রয়েছে যাদের ইনার কোরের আকৃতি ভিন্ন ভিন্ন। মঙ্গল ও চাঁদের ইনার কোরের আকৃতি ভিন্ন প্রকার।

বুধ ও বৃহস্পতির
  • 15/15

বুধ ও বৃহস্পতির ইনার কোরেরও আকৃতি দুই প্রান্তে দুরকম। যাদের উত্তর ও দক্ষিণের চুম্বকীয় শক্তি ভিন্ন। তবে এখনই এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। বৈজ্ঞানিকেরা নিরন্তর পৃথিবীর ইনার কোরের গতি প্রকৃতির ওপর নজর রাখছে। কয়েক কোটি বছর পর এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

Advertisement