Advertisement
বিশ্ব

Queen Elizabeth II: ১৯৬১ সালে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে পা রেখেছিলেন প্রয়াত রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়

কুইন এলিজাবেথ
  • 1/14

কুইন এলিজাবেথ দ্বিতীয়, ভারতে তিনবার আসেন। প্রথমবার ১৯৬১ সালে, দ্বিতীয়বার ১৯৮৩ সালে এবং তৃতীয়বার ১৯৯৭ সালে। ভারত স্বাধীন হওয়ার পনেরো বছর পর যখন তিনি প্রথমবার ভারতে আসেন, সেটা সবচেয়ে দর্শনীয় ভিজিট ছিল।

কুইন এলিজাবেথ
  • 2/14

গান্ধীজির মৃত্যুর ১৩ বছর পর কুইন এলিজাবেথ যখন ভারতে আসেন, তখন তিনি মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি সৌধের সামনে দাঁড়ান এবং নিজের জুতো খুলে ফেলেন। তাঁর স্বামী ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপও ছিলেন। তিনিও তাঁর পিছনে দাঁড়িয়েছিলেন, তিনিও একই কাজ করেন।

কুইন এলিজাবেথ
  • 3/14

ভারতে এটাই কুইন এলিজাবেথ দ্বিতীয়র প্রথম রয়্যাল ভিজিট ছিল। তাঁকে এয়ারপোর্টে নিতে যান তৎকালীন ভারতীয় রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ, প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং উপরাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন।

Advertisement
কুইন এলিজাবেথ
  • 4/14

কুইন এলিজাবেথ ভারতে ভ্রমণকারী প্রথম ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য ছিলেন। যিনি শেষ ৫০ বছরে প্রথমবার ভারতে পা রাখেন। তাঁর বাবা রাজা পঞ্চম জর্জ এবং রানি মেরি ১৯১১ সালে ভারতে এসেছিলেন। তারপর তিনিই প্রথম ভারতে পা রাখেন।

কুইন এলিজাবেথ
  • 5/14

তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে ভ্রমণের সময় ভারত ছাড়াও পাকিস্তান এবং নেপালেও যান। তিনি প্রায় বেশ কিছু মাস ধরে উপমহাদেশের দেশ গুলিতে ছিলেন। যেখানেই তিনি যান, তাঁকে দেখতে এবং অভ্যর্থনা জানাতে রাস্তায় লোকারণ্য হয়ে যায়।

কুইন এলিজাবেথ
  • 6/14

তিনি দিল্লির রাজপথে ভারতের স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডেও গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর জহরলাল নেহরু, রামলীলা ময়দানে আরও একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। সেখানে রানীকে স্বাগত জানানো হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন রানি এলিজাবেথ। রানি সেই সময়ে দিল্লি পুরসভার পক্ষ থেকে তাকে দু'ফুট লম্বা কুতুব মিনারের একটি ছোট মডেল উপহার দেওয়া হয়। যেটা হাতির দাঁতের তৈরি ছিল। পাশাপাশি ডিউককেও রুপোর মোমদানি উপহার দেওয়া হয়।

কুইন এলিজাবেথ
  • 7/14

রানী ভিক্টোরিয়ার হাতে উদ্বোধন হয় অল ইন্ডিয়া মেডিকেল সাইন্সে সেখানে তিনি গাছের চারাও লাগান। গণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে কুইন এবং ডিউক দুজনেই জয়পুর ভিজিট করেন এবং সেখানে রাজকীয় অভ্যর্থনা লাভ করে খুব খুশি হন। কুইন সেখানে মহারাজা অফ জয়পুর সওয়াই মানসিং দ্বিতীয়র সঙ্গে রাজবাড়ি চত্বরে হাতিতে সওয়ারি করেন।

Advertisement
কুইন এলিজাবেথ
  • 8/14

রিপাবলিক ডের পরেই কুইন আগ্রাতে তাজমহল দর্শনে যান। হুডখোলা গাড়িতে ভ্রমন করেন। কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত হন। রয়্যাল পরিবার উদয়পুরে ভিজিট করেন এবং সেখানে মহারাজা ভগবান ভগবত সিং মেওয়ার দ্বারা রয়েল অভ্যর্থনা লাভ করেন। কুইন এরপরে পাকিস্তানের করাচিতে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতি আয়ুব খান রানিকে খোলা গাড়িতে ভ্রমণ করান। পাকিস্তান, আফগানিস্তান সীমান্তে খাইবার পাশেও যান।

কুইন এলিজাবেথ
  • 9/14

পরদিন পাকিস্তানে কাটিয়ে কুইন ভারতে ফিরে আসেন এবং দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টে পৌঁছন। যেটি ব্রিটিশ সহায়তায় কিছু বছর আগেই স্থাপিত হয়েছিল। কুইন দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করেন। এরপরই তিনি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন।

কুইন এলিজাবেথ
  • 10/14

কলকাতায় তিনি সপরিবার সবচেয়ে বিশাল এবং সদর অভ্যর্থনা পান। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রাজভবন পর্যন্ত রাস্তার দু'ধারে শয়ে শয়ে, হাজারে হাজারে লোক দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদের দেখার জন্য এবং অভ্যর্থনা জানানোর জন্য।

কুইন এলিজাবেথ
  • 11/14

কলকাতায় থাকাকালীন রানী ভিক্টোরিয়া এবং ডিউক ফিলিপ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল ভিজিট করেন। যেটি লর্ড কার্জন দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। কুইন এবং তাঁর হাজব্যান্ড নিজেরাই কুইন ভিক্টোরিয়ার নাতি-নাতনি ছিলেন। তাই দুজনেরই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখার বিশেষ আগ্রহ ছিল। ১৮৪৭ সালে স্থাপিত হয় হর্স রেসিং অর্গানাইজেশন, রয়েল ক্যালকাটা টার্ফ ক্লাব রানিকে অভ্যর্থনা জানাতে বিশেষ রেস অর্গানাইজ করে। সেই সময়ে প্রাইজ মানি ছিল ৩০ হাজার টাকা। তিনি নিজেই বিজয়ীর হাতে ট্রফি তুলে দেন।

Advertisement
কুইন এলিজাবেথ
  • 12/14

কলকাতার পর এবং তিনি এবং প্রিন্স ব্যাঙ্গালোরে পৌঁছান। সেখানে মহীশুরের মহারাজা এবং ব্যাঙ্গালোরের মেয়র তাকে অভ্যর্থনা জানান। বাইবেল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া, যাঁর হেডকোয়ার্টার বেঙ্গালুরুতে, সে বছরই ১০০ তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করছিলেন। তাঁরা হিন্দিতে অনুবাদ করা বাইবেল উপহার দেন রানিকে।

কুইন এলিজাবেথ
  • 13/14

সফরের শেষ চরণে রানি এবং ডিউক দুজনে বোম্বে এবং বেনারস সফর করেন। বেনারসে তিনি গঙ্গায় নৌকা সফরও করেন। এখানেও তাদের দর্শনে কাতারে কাতারে লোক হাজির হয়েছিলেন ঘাটের ধারে।

কুইন এলিজাবেথ
  • 14/14

রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয় এবং প্রিন্স ফিলিপ মোট তিনবার ভারত সফর করেন ১৯৬১ ১৯৮৩ এবং ৯৭ সালে। ১৯৮৩ সালের ভিজিটে রানি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন এবং মাদার টেরেজাকেও সাম্মানিক অর্ডার অফ মেরিট প্রদান করেন। ৯৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন চলছিল।

Advertisement