Queen's residence in London: ব্রিটেনের মহারানি এলিজাবেথ দ্বিতীয় ৯৬ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন। মহারানি এলিজাবেথ ১৯৫২ সালে সিংহাসনে বসেছিলেন এবং তিনি ৭ দশক এই রাজসিংহাসনে আসীন ছিলেন। তিনি লন্ডনের যে মহলে থাকতেন, তার নাম বাকিংহাম প্যালেস। এ ছাড়া মহারানির কাছে উইন্ডসর (Windsor Castle), স্যান্ডরিংহাম হাউস অ্যান্ড বালমোরাল (Sandringham House and Balmoral) সমেত বেশ কিছু অন্য বাড়িও ছিল। কিন্তু সবচেয়ে বিখ্যাত বাকিংহাম প্যালেসই।
প্যালেসের আভিজাত্যের চর্চা গোটা পৃথিবীতে হয়। এটি লন্ডনের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত। এই প্যালেসের ভিতরে যদি নজর দেওয়া যায় তাহলে পৃথিবীর বড় বড় স্থাপত্যের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে। এই প্যালেসে সাধারণ লোকও ঢুকতে পারে। এটি ভিক্টোরিয়া টিউব স্টেশন, গ্রিন পার্ক এবং হাইড পার্ক কর্নারে অবস্থিত। এখানে সবাই ঘুরতে যেতে পারে। বাসে এখানে আসা যায়। আর যদি ট্রেনে যেতে চান, তাহলে আপনাকে ভিক্টোরিয়া টিউব স্টেশনে নামতে হবে। এখান থেকে ভিক্টোরিয়া রেল স্টেশন ১০ মিনিটের হাঁটা পথ।
ব্রিটেনের ওয়েবসাইট রয়াল কালেকশন ট্রাস্ট এর বক্তব্য অনুযায়ী বাকিংহাম প্যালেস ১৮৩৭ সাল থেকে ব্রিটেনের শাসকদের অফিশিয়াল রেসিডেন্ট। দ্বিতীয়ত এই রাজমহল, প্রত্যেক বছর গরমের সময় টুরিস্টদের জন্য খোলা হয়। ব্লুমবার্গের দাবি অনুযায়ী এই রয়্যাল ভবনের দাম ৩.৭ বিলিয়ন পাউন্ড।
rct.uk -র বক্তব্য অনুযায়ী মহারানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের এই মহলে ৭৭৫টি ঘর রয়েছে। যার মধ্যে ১৯ টি স্টেট রুম, ৫২ টি রয়্যাল এবং গেস্ট বেডরুম, ১৮৮টি বেডরুম, ৯২ টি অফিস এবং ৭৮ টি বাথরুম রয়েছে। এই প্যালেস ১০৮ মিটার লম্বা এবং চওড়া ১২০ মিটার। এর অন্দরসজ্জা অত্যন্ত আকর্ষণীয়। একাধিক রাজকীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। যার মধ্যে বিদেশের রাষ্ট্রপ্রধান সহ অন্য দেশের ভিআইপিরাও এখানে আমন্ত্রিত হন।
রাজকীয় ভোজ, লাঞ্চ, ডিনার, রিসেপশন এবং গার্ডেন পার্টির জন্য প্রত্যেক বছর বাকিংহাম প্যালেসে প্রায় পঞ্চাশ হাজারের বেশি লোক শামিল হন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে উইকলি মিটিং এবং বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এখানেই বৈঠক হয়।
শিল্প, সরকারি ক্ষেত্র, ক্রীড়া, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্র এবং জীবন ও সমাজের অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে যাঁরা ভাল কাজ করেন, সে সমস্ত লোকেদের সম্মানিত করার জন্য সারা বছরই এখানে নানা রকম অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাকিংহাম প্যালেস প্রায়ই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ন্যাশনাল ইভেন্টের সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
মহারানি ভিক্টোরিয়া জুলাই ১৮৩৭ সালে প্রথমবার বাকিংহ্যাম প্যালেসে থাকতে এসেছিলেন। ১৮৪০ সালে প্রিন্স আলবার্টের অঙ্গে যখন রানি ভিক্টোরিয়ার বিয়ে হয়, তখন ওই প্রাসাদে কিছু খামতি নজরে আসে। এরপরে খামতি পুরণ করার পর ১৮৪৭ সালে এই ভবনটি রাজমহল হিসেবে প্রস্তুত হয়। এখানে একটি প্রখ্যাত কুইন গ্যালারি রয়েছে তাতে প্রাচীন পেইন্টিং, ইউনিক ফার্নিচার সহ বিভিন্ন দ্রব্য সাজানো রয়েছে।
বাকিংহাম প্যালেস, গরমের সময় টুরিস্টদের জন্য খোলা থাকে এবং প্রত্যেক বছর ডিসেম্বর, জানুয়ারি এবং ইস্টারে সীমিত সংখ্যায় পর্যটকদের জন্য খোলা হয়। প্যালেসে ঘুরতে প্রায় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে সময় লাগে।