অ্যান্টিগুয়া থেকে ডোমিনিকায় পৌঁছানো ভারতের পলাতক ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে নিয়ে রহস্য আরও গভীর হচ্ছে। ডোমিনিকায় পৌঁছানোর সময় মেহুলের সাথে থাকা মহিলাকে নিয়ে রহস্যও কম নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, সেই সুন্দরী কি মেহুলের বান্ধবী ? পুরো বিষয়টিতে তাঁর ভূমিকা কী ছিল? আর কেন সে মেহুলের সাথে ছিল? এখন এই সমস্ত প্রশ্ন সম্পর্কে উঠছে। আর এর মাঝেই আজতকের হাতে এসেছে ওই মহিলার কিছু এক্সক্লুসিভ কিছু ছবি।
এটি তদন্তকারী সংস্থাগুলির সামনে বড় প্রশ্ন , মেহুল চোকসির সাথে কী হল? তিনি কি বিলাসবহুল নৌকায় তাঁর বান্ধবীর সাথে ফুর্তি করতে গিয়েছিলেন? নাকি মহিলা মেহুলকে ফাঁদে ফেলে ও পরে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। তারপরে ডোমিনিকায় স্থানান্তরিত করা হয়। প্রশ্ন উঠছে কিউবা পালানোর পথে তার ভাগ্য কি বিশ্বাসঘাতকতা করল?
মেহুল চোকসি অ্যান্টিগুয়া থেকে পালান এবং তার ২ দিন পরে ডোমিনিকাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই নিয়েই অনেকগুলি প্রশ্ন দানা বাঁধছে। আজতাকের প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, মেহুল ডোমিনিকায় পৌঁছে এক মহিলার সাথে ছিলেন। অর্থাৎ, তাঁর কথিত বান্ধবী তাঁর সাথেই ছিলেন। এখন মনে করা হচ্ছে এটি হানি ট্র্যাপের একটি ঘটনাও হতে পারে।
সূত্র বলছে ওই মহিলা অ্যান্টিগুয়াতেই থাকতেন এবং কয়েকদিন আগে সকাল ও সন্ধ্যা হাঁটতে বেরনোর পথে মহিলার সাথে মেহুল চোকসির আলাপ হয়। ছবি দেখেই বোধা যাচ্ছে মহিলা খুবই আকর্ষণীয় এবং সুন্দরী। অতএব, মেহুল তার সাথে বন্ধুত্ব পাতাতে সময় নেননি। পরে ২৩ শে মে ওই মহিলা অ্যাপার্টমেন্টে তার সাথে দেখা করতে মেহুলকে ফোন করেন। কিন্তু যখন চোকসি অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছন, সেখানে অনেক লোক উপস্থিত ছিল। যাঁরা তাকে অপহরণ করে ডোমিনিকা নিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যেখানে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভারতে থাকা মেহুলের আইনজীবীরাও ডোমিনিকায় তাঁর পৌঁছানোর ঘটনায় মহিলার ভূমিকা সন্দেহজনক বলে বিবেচনা করছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সেই রহস্যময়ী মহিলার সঙ্গে মেহুলের সম্পর্ক কী? এ নিয়ে যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে গার্লফ্রেন্ডের সাথে মেহুলের ডোমিনিকায় আগমেনের খবর প্রথম প্রকাশ করেছিলেন অ্যান্টিগুরা প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউন।
ডোমিনিকার মেহুলের আগমনের গল্পটিও রহস্যে ভরা। এরমঝেই আজতক ডোমিনিকার হাসপাতাল থেকে তাঁর নতুন ছবি পেয়েছে। ছবিগুলিতে মেহুলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যা মেহুলের আইনজীবী নির্যাতনের প্রমাণ বলে দাবি করছেন।
অ্যান্টিগুয়া থেকে মেহুল চোকসি পালিয়েছিলেন দাবি করা হয়েছে। তিনি নকল নথির মাধ্যমে তার বান্ধবীকে নিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন। তবে এই বিষয়ে যে ট্র্যাভেল ফার্ম নাম প্রকাশ্যে এসেছে, আজতাককে তারা দাবি করেছে মেহুল চোকসি এবং তার বান্ধবী তাদের গ্রাহক ছিল না।
ডোমিনিকায় মেহুল চোকসির আগমন রহস্য কোনও বলিউড থ্রিলারের চেয়ে কম নয়। এদিকে এই নিয়ে অ্যান্টিগুয়ার সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে তুলকামাম বেঁধেছে । মেহুলের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছে। মেহুলকে কেন্দ্র করে কার্যত দুটি পৃথক মহাদেশে তোলপাড় চলছে।