আমেরিকার বিজ্ঞানীরা এক নতুন তথ্য জানাচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, চাঁদের গর্ত যেগুলিকে ক্রেটার্স বলা হয়, সেখানে সারাদিন থাকে বরফ বা বরফগলা জল। এর কারণও ব্য়াখ্যা করেছেন তাঁরা। তাঁদের মতে, ওই গর্তগুলো এমন ভাবে রয়েছে, যার ছায়ার কারণে চাঁজের পৃষ্ঠে অন্ধকার জায়গায় বেশ ঠান্ডা থাকে। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, চাঁদের গর্তে কখনও সূর্যের আলো পৌঁছয় না।
এই ঘটনা বড় পাথরের নীচে তৈরি হওয়া ছায়ার ক্ষেত্রেও একই। এমনই জানাচ্ছেন তাঁরা। দেখে নেওয়া যাক আর কী কী জানাচ্ছেন তাঁরা।
এর আগে নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, রাতে চাঁদের পৃষ্ঠে হালকা বরফের স্তর তৈরি হত। আর তা সূর্যের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে সরে যেথ। নাসার জেট প্রপেলেশন পরীক্ষাগারের বিজ্ঞানী জার্ন ডেভিডসন জানান, এক দশক আগে ইসরোর চন্দ্রযান-১ চাঁদের দিনের অংশে জল থাকতে পারে, সেই সঙ্কেত দিয়েছিল।
জার্ন ডেভিডস আরও বলেন, চন্দ্রযান-১ এবং আরও কয়েকটি ওই জাতীয় যন্ত্র জল থাকার কথা জানিয়ছে। তবে চাঁদের পরিবেশ জলের থাকা খুবই মুশকিল। আর তাই আমাদের খোঁজ চলছে। আমরা এ ব্যাপারে আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলে, সেখানে কী করে জল থাকতে পারে, তা নিয়ে দেখছি। এটা তো জানতে পেরেছে বরফের জল জমা হয়ে রয়েছে।
A new @NASA study suggests that water ice is present across much of the lunar surface, even during daytime.
— NASA Artemis (@NASAArtemis) August 3, 2021
Understanding water as a resource is essential for future human lunar exploration and #Artemis missions. https://t.co/R5o2aBvjN2 pic.twitter.com/Ts2Flj0ap0
তিনি বলেন, জল জমলে বাতাস ছাড়া পরিবেশেও তা থাকতে পারে। যেমন বলা যেতে পারে, পাথরের ছায়ার নীচে। বা বলা যেতে পারে চাঁদের গর্তের সেই অংশেষ যেখানে কখনই সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে না।
জার্ন ডেভিডসন এবং সোনা হুসেনি মিলে এক নতুন গবেষণাপত্র লিখেছেন। ঘটনা হল চাঁদের পৃষ্ঠ বেশ পাথুরে এবং এবড়োখেবড়ো প্রকৃতির হয়। আর এই কারণে সূর্যের আলো দিনের বেলায় অনেক জায়গায় পৌঁছতে পারে না।