
মার্কিন রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় রচনা করলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি (Zohran Mamdani)। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্ক শহরের মেয়র নির্বাচিত হয়ে তিনি ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন।

প্রাক্তন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো এবং রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াকে পরাজিত করে মামদানি শুধু প্রথম মুসলিম নয়, বরং প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি হিসেবে নিউইয়র্কের মেয়রের আসনে বসছেন।

নিউইয়র্ক সিটি বোর্ড অফ ইলেকশনের তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে প্রায় ২০ লক্ষেরও বেশি নাগরিক ভোট দেন, যা গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

তাঁর জয় মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কাছে এক বড় বার্তা, প্রগতিশীল এবং বামঘেঁষা প্রার্থীরাও জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেন।

আগামী ১ জানুয়ারি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, এবং দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি হবেন গত এক শতাব্দীর মধ্যে নিউইয়র্কের সবচেয়ে তরুণ মেয়র।

বিজয়ের পর মামদানি সামাজিক মাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে দেখা যায় মেট্রো ট্রেনের দরজা খুলছে, আর তার দেওয়ালে লেখা, “Zohran For New York City” ভিডিওটি মুহূর্তে ভাইরাল হয় এবং সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে।

তবে মামদানির এই ঐতিহাসিক সাফল্য ঘিরে বিতর্কও শুরু হয়েছে। রিপাবলিকান শিবির থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে “চরমপন্থী ডেমোক্র্যাটিক রাজনীতির প্রতীক” বলে আক্রমণ করেছেন।

ভোটের দিন সকালেই ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, “যদি মামদানি জেতেন, তবে আমি নিউইয়র্ক শহরকে ফেডারেল সরকারের অতিরিক্ত অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেব।” তবে তাঁর এই হুঁশিয়ারি কার্যত ব্যর্থ হয়েছে, কারণ নিউইয়র্কবাসী পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শহরের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও তরুণ প্রজন্মের ভোট মামদানির পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। তাঁর প্রচারে ন্যায়, সমতা ও সহানুভূতির বার্তা নিউইয়র্কের বৈচিত্র্যময় সমাজে গভীর প্রভাব ফেলেছে।

জয়ের পর জোহরান মামদানি বলেন, “এই শহর সবার , আমরা একসাথে ন্যায় ও সহানুভূতির পথে এগিয়ে যাব। নিউইয়র্ক এখন নতুন দিকের দিকে হাঁটছে।”

মামদানির এই জয় মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে আরও বামপন্থী পথে নিয়ে যেতে পারে।