কাবুলে ফের আতঙ্কবাদী হামলা হতে পারে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের নিরাপত্তা বাহিনী আশঙ্কা করেছে। এর পাশাপাশি তারা কাবুল বিমানবন্দরের সুরক্ষা আরও বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে।
জো বাইডেনের প্রেস সচিব
মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন (US President Joe Biden)-এর প্রেস সচিব জেন পসাকি নিরাপত্তা-দল থেকে কী তথ্য পেয়েছেন, সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানাননি। তবে কাবুলে হামলার পর জো বাইডেন নিরাপত্তা দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, এই ঘটনাটি নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
পসাকি জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিন আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার নাগরিকদের বের করে আনা অত্যন্ত কঠিন কাজের মধ্যে অন্যতম। আমেরিকা ৩১ অগাস্টের মধ্যে সেখান থেকে নিজের দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনবে।
আরও পড়ুন: The National Flag of India : জাতীয় পতাকায় পরিবর্তন চেয়েছিলেন সত্যজিৎ, কারণ জানেন?
বাইডেনের হঁশিয়ারি
কাবুল (Kabul) বিস্ফোরণ নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe Biden) আতঙ্কবাদীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তাঁর বার্তা, ওই মৃত্যুর দাম চোকাতে হবে। আমরা ভুলব না। তোমাদের ক্ষমা করা হবে না। আমরা বেছে বেছে শিকার করব। কাবুলের হামলার দায় নিয়েছে ইসলামিক স্টেট খুরাসান প্রান্ত (ISKP)।
তিনি (US President Joe Biden) আরও বলেছেন, আমেরিকা সেই আইএস নেতাকে ভাল করে চেনে যে এই হামলার সঙ্গে যুক্ত। আমরা রাস্তা বের করব। এবং বড় সেনা অপারেশন ছাড়াই তাকে খুঁজে বের করব। তা সে যেখানেই থাক না কেন।
কাবুলে বিস্ফোরণ
বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দর এলাকায় বিস্ফোরণে ১০৩ জন মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৪৩ জন। এমনই দাবি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম। তাঁদের মধ্যে আমেরিকার ১৩ জন সেনাও রয়েছেন। হোয়াইট হাউজ থেকে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন (US President Joe Biden) কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
হামলার দায়
ওই ঘটনা সারা দুনিয়ায় আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। হামলার দায় নিয়েছে আইএস-খুরাসান। খুরাসান আমেরিকা এবং তালিবানের মধ্যো কোনও আলোচনা চায় না।
হামলার আগে সতর্কতা
কাবুলে হামলার আগে জারি করা হয়েছিল সতর্কতা। তবে শেষরক্ষা হয়নি। আমেরিকা, ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়া নিজের দেশের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছিল। তারা তাদের দেশের নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দর থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেল। আশঙ্কা করা হয়েছিল, কাবুল বিমানবন্দরে হামলা হতে পারে। সেই আশঙ্কা সত্যি করে আত্মঘাতী হামলা হয়।