Pakistan Doesn't Want To Negotiate Nuclear Power: পাকিস্তান প্রায় বিক্রি হয়ে যাওয়ার জোগাড়। কিন্তু তাদের দেমাক এখনও যায়নি। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার জানিয়েছেন যে, আইএমএফের আটকে থাকা ঋণ ফেরত নেওয়ার জন্য আমাদের পরমাণু কার্যক্রমে কোনও রকম সমঝোতা করা হবে না।
আসলে পাকিস্তান এই সময়ে জবরদস্ত আর্থিক সংকটের সঙ্গে লড়াই করছে। তাদের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার লাগাতার কম হতে শুরু করেছে। দ্রব্যমূল্য আকাশ ছুঁয়েছে। এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এখন পাকিস্তানের কাছে আন্তর্জাতিক মুদ্রাকোষ অর্থাৎ আইএমএফ থেকে পাওয়া ঋণই তাদের সাহায্য করতে পারে।
১.১ আরব ডলারের ঋণের জন্য পাকিস্তান সরকার আইএমএফ এর কাছে দাবি করেও তা আদায় করতে পারেনি। ঋণলাভের জন্য একটা পরমাণু কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত শর্ত আছে। কিন্তু পাকিস্তানের বক্তব্য যে, যা কিছু হয়ে যাক না কেন, পরমাণু কার্যক্রমের সঙ্গে কোনওরকম সমঝোতা করা হবে না।
আরও পড়ুনঃ 'কপাল খারাপ আমি সাংসদ...', রাহুল বলতেই আটকালেন জয়রাম!
তিনি ঋণ না পাওয়ার বিষয়টি আইএমএফ এর উপরেই চাপিয়ে দিয়েছেন। দার বলেছেন, "আইএমএফ এর সঙ্গে সমঝোতাতে দেরি হওয়ার বড় কারণ হল, পাকিস্তানের পরমাণু কার্যক্রম হতে পারে।" তিনি বলেন যে, "পাকিস্তানের পরমাণু ক্ষমতার অপর কোনও রকম সমঝোতা করা হবে না এবং আইএমএফ এর সঙ্গে যা আলোচনা ও শর্ত হবে, সেটি ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে।" সেনেটার রাজা রব্বানি সেনেটকে সম্বোধিত করে বলেছেন যে, সমঝোতার কারণে দেরি হচ্ছে না। যে পাকিস্তানে পরমাণু কার্যক্রমের উপর চাপ তৈরি করা যায়, তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে, আইএমএফ-এর সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে সরকার না আগে, না এখন কনফিডেন্সে নিতে পেরেছে।
এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে দার বলেছেন যে, কারও বলার প্রয়োজন নেই যে পাকিস্তানের কাছে কত রেঞ্জের মিসাইল হওয়া উচিত এবং কোন কোন পরমাণু হাতিয়ার থাকতে পারে। আমরা পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করি এবং আমরা নিজেদের রাষ্ট্রীয় হিত রক্ষা করতে পারি।
আরও পড়ুনঃ শ্রদ্ধা খুনের চেয়েও ভয়ঙ্কর, আলমারি-ড্রামে ঠাসা মায়ের দেহের টুকরো; আতঙ্ক
আইএমএফের কাছ থেকে সময় মত ঋণ না পাওয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দায়ী করা হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের অফিস থেকে জারি করা বয়ানে বলা হয়েছে যে পাকিস্তান এর পরমাণু এবং মিসাইল কার্যক্রম রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি। আমাদের পরমাণু কার্যক্রম সেফ এবং ফুল প্রুফ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনও চাপে নেই। দার আইএমএফ এর কাছ থেকে ঋণ মিলতে দেরি হওয়ার জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ইমরান খান আইএমএফ এর সঙ্গে ফান্ডিং পাওয়ার জন্য কঠিন শর্তে মেনে নিয়েছিলেন। আসলে অগাস্ট ২০১৮ তে যখন ইমরান খান ক্ষমতায় আসেন তখন পাকিস্তানে আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এই কারণে তাঁর নেতৃত্বে সরকার আইএমএফের কাছে সাড়ে ছয় আরব ডলারের ঋণের জন্য সমঝোতা করা হয়েছিল। এখন যা ১.১ আরব ডলার ঋণের কথা বলা হচ্ছে সেটি এই ঋণেরই বকেয়া টাকা। পাকিস্তানের জন্য এই ঋণ এ কারণে জরুরি কারণ তাদের উপর বড় ঋণের দায় রয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান এর বক্তব্য অনুযায়ী ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত দেশে ৬৩.৮৬ লাখ কোটি পাকিস্তানি টাকা ঋণ রয়েছে।