scorecardresearch
 

Sri Lanka Crisis : সঙ্কটের শ্রীলঙ্কায় উঠল এমার্জেন্সি, বাংলা সহ কিছু রাজ্য নিয়েও উদ্বেগ

শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি অবশ্য এখনও খুবই খারাপ বলেই জানা গেছে। চরমে পৌঁছেছে মূল্যবৃদ্ধি, যার জেরে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে মানুষে। ডিজেলের জন্য দীর্ঘ লাইন, কেরোসিনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, কাগজের অপ্রতুলতার কারণে শিশুদের পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর গোটা মন্ত্রিপরিষদ পদত্যাগ করেছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ছেলেও পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেক্ষেত্রে এখন শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 

Advertisement
শ্রীলঙ্কায় আর্থিক মন্দা শ্রীলঙ্কায় আর্থিক মন্দা
হাইলাইটস
  • শ্রীলঙ্কার জরুরি অবস্থা তোলা হল
  • পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে নয়
  • ভারতের কয়েকটি রাজ্যেও এই পরিস্থিতির আশঙ্কা

শ্রীলঙ্কায় জারি করা জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া হয়েছে (Sri Lanka Crisis)। এই ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট গোতাভায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। পরিস্থিতির অবনতি দেখে জরুরি অবস্থা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখন সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। প্রসঙ্গত, গত ৪ এপ্রিল শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনা দেখা দেওয়ায় জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নেন রাষ্ট্রপতি। তবে এখন এই জরুরি অবস্থার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। যদিও এর নেপথ্যে ঠিক কী কারণ রয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি অবশ্য এখনও খুবই খারাপ বলেই জানা গেছে। চরমে পৌঁছেছে মূল্যবৃদ্ধি, যার জেরে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে মানুষে। ডিজেলের জন্য দীর্ঘ লাইন, কেরোসিনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, কাগজের অপ্রতুলতার কারণে শিশুদের পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর গোটা মন্ত্রিপরিষদ পদত্যাগ করেছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ছেলেও পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেক্ষেত্রে এখন শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শ্রীলঙ্কায় এই রাজনৈতিক উত্থানপতনের  কারণ হল, সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘসময় বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশে জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এছাড়া, কোভিড-১৯ মহামারীও শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে বিরাট ধাক্কা দিয়েছে।

কেন এমন পরিস্থিত?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ফ্রি ঘোষণা ও বিপুল পরিমাণ ঋণ নেওয়ার কারণেই শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির এই হাল। আর সর্বোপরি যেহেতু শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রা প্রায় শেষের পথে, তাই অন্যান্য দেশ থেকে সাহায্য নেওয়ার জায়গাটিও দুর্বল হয়ে পড়েছে। 

পশ্চিমবঙ্গেও হতে পারে এমন অবস্থা?
সম্প্রতি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকের আলোচনায় উঠে এসেছে, নির্বাচনের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে যে বিবিধ ফ্রি পরিষেবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় তা কখনও ঠিক নয়। এক্ষেত্রে পঞ্জাব, দিল্লি, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যের নাম এসেছে আলোচনায়। আর এই ধরনের ফ্রি পরিষেবা ঘোষণার ফলে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ কম হচ্ছে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই অবিলম্বে এই ধরনের ঘোষণা বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেই মত তাঁদের। 

Advertisement

আরও পড়ুনদুর্বল হয়ে পড়ছেন? রইল বিশ্বের সেরা ১০ স্বাস্থ্যকর খাবারের সন্ধান

 

Advertisement