খ্যাতির বিচারে তো বটেই, সম্পত্তির বিচারেও দেশের অনেক বড় বড় ব্যবসায়ীকে হেলায় টক্কর দেবেন আমাদের দেশের বলিউড তারকারা। তবে এই খ্যতির বিড়ম্বনাও রয়েছে। বুধবার ৩ মার্চ আয়কর বিভাগের রেইড হল অভিনেত্রী তাপসী পান্নু এবং পরিচালক অনুরাগ কশ্যপের বাড়িতে। রিপোর্ট বলছে, ফ্যান্টম ফিল্মসের ট্যাক্স সংক্রান্ত সমস্যার জেরেই এই রেইড হয়। তবে এঁরা প্রথম নন, যাঁদের বাড়িতে আয়কর বিভাগ কড়া নেড়েছে। এর আগেও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, সঞ্জয় দত্ত, ক্যাটরিনা কাইফ সালমান খান-সহ অেক বড় তারকাদের বাড়িতে আয়কর বিভাগ তল্লাশি চালিয়েছে। জেনে নিন কবে এবং কেন এঁদের বাড়িতে রেইড হয়।
সঞ্জয় দত্ত
২০১২ সালে সঞ্জু বাবা-র বাড়িতেও আয়কর বিভাগের রেইড হয়। প্রায় ২০ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয় তাঁর বাড়িতে। আয়কর বিভাগের কর্তাদের বক্তব্য ছিল, সঞ্জয়ের কাছে কাস্টমাইজ কিছু ঘড়ি রয়েছে যার দাম কয়েক কোটি টাকা।
সোনু নিগম
ওই একই বছর শিল্পী সোনু নিগমের বাড়িতেও আযকর বিভাগ হানা দেয়। বিভিন্ন কনসার্ট করতে খুব দামি গাড়িতে যাতায়াত করতেন সোনু। সে কারণেই আয়কর বিভাগের নজরে পড়েন তিনি।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
২০১১ সালে প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে আয়কর বিভাগ তল্লাশি চালায়। সে সময় শাহিদ কাপুর তাঁর বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। সে কারণেই খবরটি শিরোনামে জায়গা করে নেয়। আয়কর বিভাগের কাছএ খবর ছিল যে প্রিয়াঙ্কার কাছে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। এই সন্দেহের বশে তল্লাশি চালানো হয়।
সালমান খান
বলিউডের ব্যাড বয় সালমান খানের বাড়িতেও ২০০০ সালে আয়কর হানা পড়ে। মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় যেখানে সালমানের প্রপার্টি ছিল সে সব জায়গায় একত্রে তল্লাশি চালানো হয়। দাবাং হিট হওয়ার পর সালমানের ভাই সোহেলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে আয়কর বিভাগের কর্তারা।
সোনু সুদ
২০১২ সালে সোনু সুদের বাড়িতে আয়কর দফতর হানা দিয়েছিল। সেই বছরই তিনি ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন। যার ফলে আয়কর বিভাগের নজর পড়ে তাঁর উপর।
মাধুরী দীক্ষিত
বেশ কয়েক বছর আগে মাধুরীর বাড়িতেও আয়কর বিভাগ তল্লাশি চালায়। রিপোর্ট অনুযায়ী নগদ টাকার খোঁজে মাধুরীর ঘরের দেয়াল পর্যন্ত ভেঙে ফেলা হয়। খবর ছিল মাধুরী তাঁর ম্যানেজারকে ঘরেই লুকিয়ে রাখতে বড় অঙ্কের টাকা দিয়েছিলেন।
একতা কাপুর
একতা কাপুর প্রোডাকশনের সিনেমা শুটআউট অ্যাড ওয়াডালা ছবির মুক্তির ঠিক এক দিন আগে একতা-র বাড়িতে আয়কর রেইড হয়। কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তল্লাশির জন্য একতার বাড়িতে ১০০ জন আধিকারিক ছিলেন। শুধু বাড়ি নয়, তাঁর বালাজি টেলিফিল্মস স্টুডিওতেও তল্লাশি চালানো হয়।
রানি মুখোপাধ্যায়
২০০০ সালে রানির বাড়ি তল্লাশি চালায় আযকর দফতর। রিপোর্ট অনুযায়ী রানির ঘর থেকে ১২ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়। রানির বাড়িতে আয়করের হানা সে সময় পড়েছিল যখন তিনি কেরিয়ারের শিখরে ছিলেন।