কলকাতা থেকে কোলাপুর, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত সারা দেশ থেকে রোজ ৫০ হাজার মানুষ করোনায় (Corona Pandemic) সাহায্যের জন্য তাঁকে ফোন করছেন। এ ছাড়াও সর্বক্ষণ মেসেজ আসছে তাঁর ইনবক্সে। কিন্তু বিরক্ত হওয়া দূরস্থান, যতটা পারছেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন মানব দরদি অভিনেতা সোনু সুদ (Sonu Sood)। কী ভাবে তিনি এত মানুষের সাহায্য করছেন, তার জন্য কী কী করতে হচ্ছে তাঁকে, তা জানালেন সোনু। লোক দেখানো ১৮ বা ২০ ঘণ্টা কাজের গল্প শোনাননি সোনু সুদ। তিনি যা যা করছেন, তা প্রতিফলিত হচ্ছে চারদিকে।
কী ভাবে সাহায্য করছেন সোনু সুদ এবং তাঁর টিম
সোনু বলেন, 'সরকারও যে সাহায্য করছে না তা নয়, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। প্রত্যেক মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। এখন সবার সকলকে প্রয়োজন। আমি কী ভাবে এটা করতে পারছি জানি না। প্রতি দিন প্রায় ২২ ঘণ্টা ফোন কলে থাকি। আমার এবং আমার টিমের কাছে প্রতি দিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার ফোন কল আসে। আমার ১০ জনের একটা টিম রয়েছে যারা শুধু Remdesivir খোঁজে। আমার অন্যান্য টিম রয়েছে যাঁরা বেডের জন্য, অক্সিজেনের জন্য শহর চষে ফেলেন। সারা দেশের বহু চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে হয়। তাঁদের যা প্রয়োজন তা দ্রুত পৌঁছে দিতে হয়। যাঁরা আমাদের কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছেন, তাঁরা নিজে থেকেই আমাদের টিমের অংশ হিসাবে থেকে যান। আমি সারা দিনে যত সাহায্যের মেসেজ পাই, তা সব দেখতে গেলে ১১ বছর সময় লেগে যাবে। তবে আমাদের যুদ্ধ জারি রয়েছে। যতটা বেশি সংখ্যাক মানুষের প্রাণ বাঁচাতে হবে।'
এর আগে ছোট্ট একটি ভিডিও পোস্ট করেন সোনু। তাতেই বোঝা যাচ্ছে দেশের কত মানুষ বিপদে রয়েছেন। আরও বড় কথা বিপদে সোনুকে মনে করছেন। গত বছর থেকে কোভিড আক্রান্ত দেশের অন্যতম ভরসার মুখ হয়ে উঠেছেন সোনু সুদ। দেশের অনেক মানুষই নিজেদের সাধ্যমতো বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তবে সোনু সাহায্যের পরিভাষা বদলে দিয়েছেন। তবে এত আর্তি দেখে সোনু লিখছেন, 'The speed at which we get requests across the country. Trying my best to reach out to everyone. Everyone...Please come forward. We need more helping hands. Do your best to the best of your capabilities.'
শুধুমাত্র মুখে বলা নয়, কাজেও তিনি যা করে দেখিয়েছেন তার কোনও তুলনা হয় না। প্রায় প্রতি দিনই কোনও কোনও সাহায্যের পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। যেমন সম্প্রতি একটি পোস্ট করে তিনি জানান, কোভিড সংক্রান্ত যে কোনও সাহায্য বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। ডাক্তারের পরামর্শ হোক বা কোভিড টেস্ট। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কাছে শেষকৃত্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করানোর আর্জি জানিয়েছেন সোনু।