ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর সঙ্গেই কার্যত কাঁধে কাঁধ রেখে লড়াই করছিলেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরি (Sabyasachi Chowdhury)। যিনি ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সব সময় ছিলেন। তাঁকে সাহস জুগিয়েছেন। ঐন্দ্রিলার প্রয়াণের পর স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছেন সব্যসাচী।
ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সব্যসাচী তাঁর অ্যাকাউন্টটি নিষ্ক্রিয় করেছেন। সব্যসাচী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখতেন মাঝে মধ্যে। শোনা যায়, ঐন্দ্রিলা চাইতেন তাই তিনি লিখতেন। সব্যসাচী ও ঐন্দ্রিলার ভালোবাসাকে দৃষ্টান্ত হিসেবেই দেখছেন অনেকে। নেটা নাগরিকরা বলছেন, এমন ভালোবাসা সত্যিই এ যুগে বিরল।
আরও পড়ুন : এক ধাক্কায় বাড়বে শীত, তার উপর মেঘলা আকাশ বাংলায়; পূর্বাভাস
সব্যসাচীকে নিয়ে ঐন্দ্রিলা কী ভাবতেন? তাঁদের ভালোবাসা কতটা গভীর ছিল? তা নিয়ে সম্প্রতি একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। অনেকে বলছেন, হয়তো এই কথাটা ঐন্দ্রিলা প্রতিদিন বলতেন সব্যসাচীকে।
কী সেই পোস্ট? ঐন্দ্রিলার সেই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দেখা যাচ্ছে সব্যসাচী ও ঐন্দ্রিলা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছেন হাসিমুখে। সেখানে ক্যাপশনে লেখা, 'আমার বেঁচে থাকার কারণ '।
ঐন্দ্রিলার এই পোস্টটি তিন সপ্তাহ আগের। তবে তাঁর মৃত্যুর পর তা এখন ভাইরাল হয়েছে। একজন সেই পোস্টে লিখেছেন, 'এখন কাউকে ভালোবাসতে ভয় পাই। যদি মাঝ পথে ছেড়ে চলে যায়। সবাই ভালোবাসার মানুষটির সাথে থাকতে পারে না। হাজার হাজার মানুষের মধ্যে শুধু কয়েক জন তার ভালোবাসার মানুষটির সাথে থাকতে পারে।
আর একজন লিখেছেন, 'বিশ্বাস হচ্ছেনা এখনো। ভালো থাকো দিদি। তোমাদের জুটি দেখিয়েছে ভালোবাসা কী। তোমার মৃত্যু হতে পারে না। কারণ ভালোবাসা অমর।'
আরও পড়ুন : ডিএ পাওয়ার পথ প্রশস্ত হল', ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই মহার্ঘ ভাতা পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা?
প্রসঙ্গত, রবিবার ১ নভেম্বর দুপুরবেলা এক বেসরকারি হাসপাতালের ভর্তি করা হয় ঐন্দ্রিলাকে। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। ১০ দিন পর তার মস্তিষ্কের বাম দিকে একটি বিশাল স্ট্রোক তৈরি হয়। পরে তাঁর মস্তিষ্কের ডান দিকেও স্ট্রোক হয়। এই স্ট্রোকের সম্ভাব্য কারণ অন্তর্নিহিত ম্যালিগন্যান্সি বলে মনে হয় প্রাথমিকভাবে। ভেন্টিলেটরে থাকলেও অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হওয়ার লক্ষণ দেখাচ্ছিল। তবে বিপদ বাড়ায় স্ট্রোক, অস্ত্রোপচারের ১০ দিন পরে তার মস্তিষ্কের বাম দিকে বিশাল স্ট্রোক তৈরি হয়।