সাহিত্য ও সঙ্গীতের মহা আসর এবার বাংলায়। 'সাহিত্য আজতক কলকাতা'-র (Sahitya Aajtak Kolkata 2023) দুই মঞ্চে বাংলার সাহিত্য, কবিতা, গান নিয়ে বিস্তারিত চর্চা ও বিতর্ক সভা চলবে দু'দিন ব্যাপী। ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপ পরিচালিত দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নিউজ চ্যানেল 'আজতক'-এর দেশের প্রতিটি বড় শহরেই সাহিত্য চর্চার এই মহামিলনের আসরের আয়োজন করে আসছে অনেক বছর ধরেই। এবার তা হচ্ছে কলকাতায়।
আট ও নয়ের দশকে বলিউডের প্লেব্যাক গানের অন্যতম শাসক উদিত নারায়ণ (Udit Narayan)। আট থেকে আশি সকলের পছন্দের তালিকায় রয়েছে তাঁর গান। সাহিত্য আজতক-এর মঞ্চে হাজির ছিলেন তিনি। একের পর এক কালজয়ী গান গেয়ে জমিয়ে দিলেন মঞ্চ। সে সঙ্গে আড্ডার মাঝে সঙ্গীতশিল্পী শেয়ার করেন ছোটবেলার নানা নস্ট্যালজিয়া। উদিত নারায়ণের বাবা হরেকৃষ্ণ ঝা ছিলেন কৃষক। মা, ভুবনেশ্বরী লোকগান গাইতেন।
আরও পড়ুন: 'ফের 'মুঘল এ আজম, 'উমরাও জান'-র মতো ছবি হলে, গানও ভাল হবে'
এদিন তিনি বললেন, "আবার বাবা কৃষক ছিলেন। গান গাওয়ার কথা বললেই উনি রেগে যেতেন। বলতেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে... । তবে মা সমর্থন করতেন। ছোটবেলা থেকে কখনও মেলা, কীর্তন বা যেখানেই সুযোগ পেতাম গান গাইতে চলে যেতাম হাফ প্যান্টেই। সেখানে সকলকে অনুরোধ করতাম আমায় গান গাইতে দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য। কখনও কখনও তাঁদের গান ভাল লাগলে, ১১ টাকার মালাও পরিয়ে দিতেন, উপহার পেয়েছিলাম ৫ টাকা "
আরও পড়ুন: গোটা জীবনে ৩৫- ৪০ বছর লড়াই করেছি: উদিত
হিন্দি ছাড়াও ভোজপুরি, তেলুগু, তামিল, কন্নড়, ওড়িয়া এবং বাংলা ভাষায় গান গেয়েছেন উদিত নারায়ণ। ২০১৬ সালে তিনি সম্মানিত হোন ‘পদ্মভূষণে’। কেরিয়ারে মোট চারবার পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। এছাড়াও ঝুলিতে রয়েছে আরও অনেক সম্মান - স্বীকৃতি। তবে দীর্ঘ এই জার্নিটা মোটেও সহজ ছিল না। শিল্পী বলেন, "উৎসর্গ ও ভাল কাজের জন্য অনেক কিছু বদলে যায় জীবনে। আমিও অনেক লড়তে হয়েছে। আজ যেখানে পৌঁছেছি, সে জায়গায় আসা অত সহজ ছিল না। গোটা জীবনে ৩৫- ৪০ বছর লড়াই করেছি।"
আরও পড়ুন: বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন 'বেণী বৌদি'- সুদীপ্তা, তৃণমূল নেতার সঙ্গে বিয়ে মে মাসে
প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালে ‘উনিশ বিশ’ ছবিতে গান গাওয়ার জন্য, উদিত নারায়ণকে সুযোগ দেন সঙ্গীত পরিচালক রাজেশ রোশন। কেরিয়ারের শুরুতেই তিনি ডুয়েট গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর, মহম্মদ রফি, কিশোর কুমারের মতো কিংবদন্তী শিল্পীদের সঙ্গে। ১৯৮৮ সালে আমির খান এবং জুহি চাওলা অভিনীত 'ক্যায়ামত সে ক্যায়ামত তক' ছবিতে 'পাপা কেহতে হ্যায়' গানটির জন্য তিনি প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। এরপর থেকেই বলিউড প্লেব্যাক গানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন তিনি।