দুর্গাপুজো বাঙালির আবেগের আরেক নাম। বছরের এই দিনগুলির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে সকলে। আর সেই দুর্গাপুজোকেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। তাই পুজো শুরুর মাস খানেই আগেই বৃহস্পতিবার সারা শহর মেতে উঠেছিল উৎসবের আবহে। যার প্রধান হোতা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তালিকায় জায়গা করে দেওয়ায় ইউনেস্কোকে কৃতজ্ঞতা জানাতে আজ রাজ্যজুড়ে ধন্যবাদ-জ্ঞাপন মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল।
২১ জুলাইয়ের মঞ্চ হোক বা দুর্গাপুজো কার্নিভ্যাল, বর্তমানে রাজ্য সরকার বা তৃণমূল শিবিরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায় একঝাঁক টলি তারকাদের। অন্যথা হল না এবারও। এদিনও রথী-মহারথীদের মাঝে দেখা গেল টলি তারকাদের ঢল। বিশেষ এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তী, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, লাভলি মৈত্র, জুন মালিয়া, সৌমিতৃষা কুণ্ডু, সোনামণি সাহার মতো টলি ও টেলি তারকারা।
আরও পড়ুন: এক সিরিজে ভিন্ন রূপে ৪ অভিনেত্রী! আসছে নতুন থ্রিলারধর্মী সিরিজ?
আটপৌরে করে লাল শাড়িতে নাচতে দেখা গেল শুভশ্রী, সায়ন্তিকাকে। অন্যদিকে সবুজ- লাল পাড় হলুদ গরদের শাড়িতে সেজেছিলেন মিমি, লাভলি, কৌশানি, সৌমিতৃষা, সোনামণিরা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বরণ ডালা হাতে ‘এসো এসো আমার ঘরে এসো’ গানের তালে অতিথিদের বরণ করে নিলেন এই শিল্পীরা। তবে এদিন দেখা যায়নি সাংসদ- অভিনেতা দেবকে। সকলকে অবাক করে এদিন একই ফ্রেমে ধরা দিয়েছেন মিমি ও শুভশ্রী।
আরও পড়ুন: বড় -জা'র সঙ্গে জমিয়ে পার্টি মিঠাইরাণীর! প্রকাশ্যে সৌমিতৃষা- তন্বীর ভিডিও
এদিন বেলা দুটো নাগাদ জোড়াসাঁকো থেকে শুরু হল মিছিল। একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই মহাযজ্ঞে সামিল হয়েছিলেন হয়েছিলেন মুখ্য সচিব সহ সব দফতরের সচিবরাও। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে কলুটোলা, বউবাজার, চাঁদনি চক, ডোরিনা ক্রসিং, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ হয়ে পদযাত্রা পৌঁছয় রেড রোডে। ঢাকের বোল, শঙ্খধ্বনি, ছৌ ও মুখোশ নাচ সব মিলিয়ে উৎসবের আমেজ মাখামাখি হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় প্রথমবার! 'বিক্রম' জয়ের সঙ্গে 'বেতাল' শুভাশীষ
মিছিল শুরুর আগে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠান ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদেরও সম্বর্ধনা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের শেষলগ্নে বক্তব্য রাখতে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি এদিনেক অনুষ্ঠানকে ঐতিহাসিক তকমা দেন।