scorecardresearch
 

Sahitya Aajtak Kolkata 2023: 'নির্মাতারা ভাল সাহিত্যে হাত দিতেও ভয় পায় ট্রোল হওয়ার ভয়ে'

Sahitya Aajtak Kolkata 2023- Rwitobroto Mukherjee : সাহিত্য ও সঙ্গীতের মহা আসর এবার বাংলায়। 'সাহিত্য আজতক কলকাতা'-র মঞ্চে অভিনেতা ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়। আলোচনার বিষয় ছিল, 'সাহিত্য এবং তা নিয়ে সিনেমা'। 

Advertisement
সাহিত্য আজ তক-এর মাঞ্চে অভিনেতা ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় সাহিত্য আজ তক-এর মাঞ্চে অভিনেতা ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

সাহিত্য ও সঙ্গীতের মহা আসর এবার বাংলায়। 'সাহিত্য আজতক কলকাতা'-র (Sahitya Aajtak Kolkata 2023) দুই মঞ্চে বাংলার সাহিত্য, কবিতা, গান নিয়ে বিস্তারিত চর্চা ও বিতর্ক সভা চলবে দু'দিন ব্যাপী। ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপ পরিচালিত দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নিউজ চ্যানেল 'আজতক'-এর দেশের প্রতিটি বড় শহরেই সাহিত্য চর্চার এই মহামিলনের আসরের আয়োজন করে আসছে অনেক বছর ধরেই। এবার তা হচ্ছে কলকাতায়। 'সাহিত্য আজতক কলকাতা'-র মঞ্চে অভিনেতা ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় (Rwitobroto Mukherjee)। আলোচনার বিষয় ছিল, 'সাহিত্য এবং তা নিয়ে সিনেমা'। 

সাহিত্য থেকে ছবি তৈরি কতটা ঝুঁকিপূর্ণ? ঋতব্রতর কথায়, "আমি এখনও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করছি। সে পড়াশোনা করতে করতে আমি যখন ভারতীয় চলচ্চিত্র, বিশেষ করে বাংলার কাজ দেখি, তখন আমার মনে হয়, যে সাহিত্য প্রায় সবাই পড়েছে এবং আমি একজন পরিচালক হিসাবে সেটা বানাতে যাচ্ছি বা অভিনেতা হিসাবে অভিনয় করতে যাচ্ছি খুব কঠিন হয়ে যায় অনেকক্ষেত্রে। এর কারণ হচ্ছে, সাহিত্য নিয়ে বাঙালিদের যতটা চর্চা বা গর্ববোধ আছে, ততটা ব্যাগেজ আছে।"

আরও পড়ুন: এবার কি ছবি পরিচালনায় 'একেন বাবু'? অনির্বাণ যা জানালেন

তিনি যোগ করলেন, "শার্লক হোমসের একটা ছবিতে মোবাইল ফোন ব্যবহার হচ্ছে, যেটা সাহিত্যে লেখা নেই। গল্পের সঙ্গে মানানসই করার জন্য চিত্রনাট্যে রাখা হয়েছে। যেভাবে পৃথিবীর মানুষ বিষয়টা মেনে নিয়েছে, সেভাবে আমাদের এখানে কোনও গল্পকে সময়োপযোগী করার জন্য কোনও পরিবর্তন যদি করা হয়,  ট্রোলের সংখ্যাও বেড়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়া আসার জন্য এটা হতে পারে। কোনও জনপ্রিয় গল্পকে পুনর্নির্মাণ করা হয়, গল্পটা দেখার আগেই নেগেটিভ মন্তব্য চলে আসে অনেক। এই মানসিকতা না পরিবর্তন হলে, নির্মাতারা ভাল সাহিত্যে হাত দিতেও এখন ভয় পায়। ফেসবুকে ট্রোল হওয়ার ভয় থাকে। 

Advertisement

আরও পড়ুন: জমজমাট ইমনের বসন্ত উৎসব! নাচ-গান -তারকার সমাবেশে রঙিন আবহ

সাহিত্য থেকে তৈরি ছবিতে অভিনয় কতটা কঠিন? ঋতব্রতর উত্তর, "আমার মনে হয় খুব জনপ্রিয় সাহিত্য চরিত্রকে যে বারবার স্ক্রিনে আনা হচ্ছে, এইভাবেই সারা পৃথিবী জুড়ে সাহিত্য বা শিল্প বেঁচে থাকে। যত রকমের অভিযোজন করা যাবে, যত ভাবে অনেকজন মানুষ মিলে কাজটা ভিন্নভাবে করবেন, তবেই তো একটার পর একটা কাজ হতে হতে বিভিন্ন দিক আসবে সে সাহিত্যর। আমার মনে হয়, যখন কোনও শিল্পী লিখে যাচ্ছেন, তিনি এই জায়গাটাও দিয়ে দেন, পরবর্তী ক্ষেত্রে যেন আরেকজন শিল্পী সেটা নিজের মতো করে তৈরি করতে পারেন। এটাই হল শিল্প কিংবা সাহিত্যর মজা।" 

আরও পড়ুন: 'মালা, ৫ টাকার উপহার...', 'হাফ প্যান্টে' গেয়েছিলেন উদিত

তিনি আরও যোগ করলেন, "এখন আবার যদি কেউ একেন বাবু করেন, তাহলে লোকের রেফারেন্স পয়েন্ট হবে অনির্বাণদা-এর পারফরম্যান্স। তখন তারা বলবে, অনির্বাণ চক্রবর্তীর মতো একেন বাবু হল না। এভাবেই কিন্তু কাজ বেঁচে থাকে। আমি এই প্রথম তোপসে চরিত্রে অভিনয় করছি। কিন্তু আমাদের ফেলুদার এই গল্পটা ২০১৬-২০১৭ সালে সেট করা। তাই এটা ফেলুদার একটি আধুনিক অভিযোজন। তবে আমি কখনও কোনও পারফরম্যান্সের আগে এই চাপটা নেই না যে, আমার আগে ৪৬ জন েই চরিত্রে অভিনয় করেছেন, বা এটা বইতে হয়তো যেভাবে আঁকা আছে আমি সেরকম দেখতে নয়। অভিনেতার কাজ হল ঠিক মতো চরিত্রটা ফুটিয়ে তোলা। আমি সেটার প্রতি সৎ থেকে কাজটা করার চেষ্টা করি। দর্শকদের একটু ওপেন মাইন্ডেড হওয়া দরকার নতুন কনটেক্সে বিভিন্ন চরিত্র দেখার জায়গা থেকে।"

 

Advertisement