দেশে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। রোজ বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। কবে থামবে করোনার দাপট? আর কবেই বা থামবে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুমিছিল? এমনই হাজার হাজার প্রশ্ন মানুষের মনে ঘুরছে। দিল্লির এইমস-এর অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া আজতক-কে এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ দিয়েছেন। তিনি এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
এইমস-এর অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, ভারত একটা বড়সড় দেশ। এখানে এক এক সময়ে করোনার সংক্রমণ চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছবে। দেশের পশ্চিম অঞ্চলে করোনার সংক্রমণের ঘটনা কিছুটা কমেছে। মহারাষ্ট্রে এখন চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে বলে মনে হয়।
তিনি জানান, দিল্লি এবং আশপাশের কথা যদি বলি, তা হলে সেখানে সংক্রমণ তুঙ্গে পৌঁছতে আর খানিকটা সময় লাগবে। সম্ভবত এই মাসের মাঝামাঝি তা হবে।
পূর্ব ভারতে করোনা সংক্রমণ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। রণদীপ গুলেরিয়া জানান, অসম এবং বাংলার মতো রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার দরকার রয়েছে।
অনেকেই আশঙ্কা করছেন, তৃতীয় ঢেউয়ের। সবাইকে টিকা দেওয়া দরকারি? এ ব্যাপারে তিনি বলেন, সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে বেশিরভাগ মানুষকে টিকা দিতে পারলে, তৃতীয় ঢেউ ভয়াবহ হবে না।
সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, জুলাই পর্যন্ত এ দেশে টিকার অভাব থাকবে। এত বড় দেশে টিকা দেওয়ার কাজ সহজ নয়।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যে আসতে পারে, সে ব্যাপারে আগে আশঙ্কা করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। তবে ভাইরাস নিজের চরিত্র পাল্টে এত ছোঁয়াচে হয়ে যাবে, তা ভাবা যায়নি।
১০-২০ হাজার আক্রান্ত থেকে ৩-৪ লক্ষ আক্রান্ত হবে, তা বোঝা যায়নি। এর ফলে হাসপাতালে রোগীদের চাপ প্রচুর বেড়ে গিয়েছে। তাই ওষুধ, অক্সিজেনের হাহাকার শুরু হয়েছে।