Canning Girl Kills Herselfবিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছিল এক যুবক। পরে বিয়েতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। যাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল লজ্জায় ওই তরুণী আত্মঘাতী হলেন। দক্ষিণ ২৪ পরপণার ক্যানিং (Canning)-এর ঘটনা।
ক্যানিংয়ের রাজপুরে
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই তরুণীর নাম তাপসী মল্লিক। তাঁদের বাড়ি ক্যানিং (Canning)-এর রাজাপুরে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্থানীয় এক যুবক দিনের পর দিন সহবাস করেছ তাঁর সঙ্গে।
আরও পড়ুন: করোনার ধাক্কা! বেসরকারি ছেড়ে দেশে বাড়ল সরকারি স্কুলে ভর্তির হার
দুই পরিবারের মধ্যে এই বিয়ে নিয়ে আলোচনা ও শুরু হয়। কিন্তু ছেলের বাবা বিয়েতে অমত পোষণ করেন। আর তারপর এই বিপত্তি। ওই তরুণীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন অভিযুক্ত ধীমান বর্মন।
এতেই মানসিক ভাবে ভেঙে পরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন ওই তরুণী। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের তালদি মধ্য রাজাপুর এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: COVID-ধাক্কা, প্রতি ৩ জনের মধ্যে একজনের ব্যক্তিগত জীবনে খারাপ প্রভাব
থানায় অভিযোগ
বৃহস্পতিবার মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ধীমান বর্মণ ও তার বাবা সুকুমার বর্মণের নামে ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার মা। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বন্দনা মল্লিক থানার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মেয়ের কথা মনে করে বলছিলেন, কত কষ্ট করেছি তোর জন্য। স্কুলে যেতিস তখন কিছু হয়নি। আমার পাঁজর চলে গেল। তোর কী হল।
মেয়েটির বাবা থাকেন বাইরে। কাজের জন্য তিনি থাকেন আন্দামানে। মা পরিচারিকার কাজ করেন। অনেক কষ্ট করে মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নবদ্বীপের চরকি, সবংয়ের গাছবোমা-জলবোমা, কোন এলাকায় কোন বাজি বিখ্য়াত?
বাড়ির মালিকের সঙ্গে
তিনি অভিযোগ করেছেন, ক্যানিং (Canning) থানা এলাকায় রাজাপুরে ভাড়া বাড়িতে থাকেন তাঁরা। বাড়ির মালিক তপন ভৌমিক। বাড়ির মালিকের ছেলে ধীমান বর্মনের সঙ্গে তাঁর মেয়ের যোগাযোগ গড়ে ওঠে। তাঁদের মধ্যে নিয়মিত ফোনে কথা হত।
তিনি অভিযোগ করেছেন, যখন তিনি বাড়ি থাকতেন না, তখন ওই তরুণ তাঁদের বাড়িতে আসতেন। দুজনেই সাবালক। তাই তিনি ঠিক করেন তাঁদের বিয়ে দেবেন। ফোনে স্বামীকে সে কথা জানান। স্বামী জানান তিনি বাড়ি গিয়ে আলোচনা করবেন।
ছেলের বাবা নারাজ
তবে ধীমানের বাবা ওই তরুণীর সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হননি। তিনি তাঁকে নিজের বউমা বলে মেনে নিতে রাজি ছিলেন না।
বুধবার তিনি কাজ থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন ঘর অন্ধকার। ডাকাডাকি শুরু করেন। মন কু গাইতে থাকে। ঘরের আলো জ্বালালে দেখা যায় মেয়ে গলায় কাপড় দিয়ে ঝুলছে।
তাঁর দাবি, ধীমান তাঁর মেয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে অসৎ উদ্দশ্যে মেলামেশা করেছে। বিয়েতে রাজি হয়নি। আর সেই লজ্জা সহ্য করতে না পেরে মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। দোষীর শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।