পরিচারিকা চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে অপহৃত হলেন ব্যবসায়ী। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পোলবায়। অবশেষে পূর্ব মেদিনীপির থেকে উদ্ধার করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে। একইসঙ্গে অপহরণের সঙ্গে যুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পরিচারিকা চেয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপণ দেন হুগলির ব্যবসায়ী জীবনকৃষ্ণ পাল। প্রায় ১ সপাহ পরে তাঁর কাছে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে এক মহিলার ফোন আসে। ওই মহিলা তাঁর বাড়িতে কাজ করতে রাজি হয়। সেই মতো কাজেও যোগ দেয় ওই মহিলা। কিন্তু ৩ দিন কাজ করার পর পারিবারিক কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা বলে বাড়ি ফিরে যায় সে। এরপর ওই মহিলা জীবনকৃষ্ণ পালকে ফোন করে বলে যে সে শারীরিকভাবে অসুস্থ। সে তাঁর বাড়িতে কাজ করার জন্য অন্য একজন মহিলাকে পেয়েছে। তাই তাকে যেন জীবনকৃষ্ণবাবু পূর্ব মেদিনীপুর থেকে নিয়ে যান।
ওই মহিলার কথা মতো মঙ্গলবার রাতেই দ্বিতীয় মহিলাকে আনতে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন জীবনকৃষ্ণ পাল। পরের দিন অর্থাৎ বুধবার তাঁর ছেলে প্রসেনজিৎ পালের কাছে একটি ফোন আসে যে তাঁর বাবাকে অপহরণ করা হয়েছে এবং মুক্তিপণ হিসেবে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। ভিডিও কলে ছেলের সঙ্গে বাবার কথাও বলানো হয়। এমনকি টাকা না দিলে ওই ব্যবসায়ীরে খুনের হুমকিও দেয় অপহরণকারীরা।
এই ঘটনার পরেই খারাপ নেটওয়ার্কের দোহাই দিয়ে অপহরণকারীদের থেকে কিছুটা সময় চেয়ে নেন প্রসেনজিৎ পাল। তারপর তিনি যোগাযোগ করেন পোলবা থানার সঙ্গে। পোলবা থানার পুলিশ আধিকারিকরা এই বিষয়ে সরাসরি হুগলি গ্রামীণের এসপি আমনদীপের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ফোনের টাওয়ার লোকেশন ধরে মাত্র ৫ ঘণ্টার মধ্যেই অপহরণকারীদের ডেরায় পৌঁছে যায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ২ মহিলা-সহ মোট ৪ অপহরণকারীকে। উদ্ধার করা হয় ব্যবসায়ীকেও। এই বিষয়ে হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার বলেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর থানা এলাকা থেকে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
আরও পড়ুন - রেললাইনে আচমকাই হাতি, ইমার্জেন্সি ব্রেক মারলেন লোকো পাইলট, তারপর...