Hooghly Tarakeshwar : 'বউকে দরজার খিল দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করেছি,' তারকেশ্বরে থানায় স্বামী

Hooghly Tarakeshwar: স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলি (Hooghly) জেলার তারকেশ্বর (Tarakeshwar)-এর তালপুর এলাকায়।

Advertisement
'বউকে দরজার খিল দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করেছি'তারকেশ্বরে স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর (প্রতীকী ছবি)
হাইলাইটস
  • স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর
  • ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলি জেলার তারকেশ্বরের তালপুর এলাকায়
  • মৃতের নাম হোসেনারা বেগম (৪৮)

Hooghly Tarakeshwar: স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলি (Hooghly) জেলার তারকেশ্বর (Tarakeshwar)-এর তালপুর এলাকায়। মৃতের নাম হোসেনারা বেগম (৪৮)। অভিযুক্ত স্বামীর নাম শেখ ওয়াহাব। তিনি কাজ করতে চাইতেন না বলে অভিযোগ। আর সে জন্য সংসারে অভাব লেগে থাকত। আর এ কারণে অনেক সময় পরিবারে অশান্তি হত বলে জানা গিয়েছে।

একের পর এক আঘাত
পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের ৪ সন্তান রয়েছে। হোসেনারা বেগমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে দরজার খিল দিয়ে মাথায় বার বার আঘাত করে স্বামী শেখ ওয়াহাব। আঘাতের ফলে মাথা থেঁতলে যায় এবং রক্তাক্ত অবস্থায় ঘর থেকে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। 

তাঁকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। আরও জানা গিয়েছে স্ত্রীকে খুন করে তারকেশ্বর থানায় আত্মসমর্পণ করে শেখ ওয়াহাব। এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। বহু মানুষের ভিড় লেগে যায় ঘটনাস্থলে।

দেহ ময়না-তদন্তের জন্য চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে স্বামী শেখ ওয়াহাবকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সাংসারিক অশান্তির কারণে এই ঘটনা। তবে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তদন্ত করে জানা যাবে।

শাস্তির দাবি বধূ পরিবারের
শেখ ওহাবের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন হোসেনারা বেগমের পরিবারের সদস্যরা। পরিবার সূত্রে খবর, অভিযুক্ত পেশায় দিনমজুর। আর্থিক অভাবের কারণে তাঁদের সংসারে নিয়মিত অশান্তি চলত। তার ভয়ানক পরিণতি স্বামীর দ্বারা স্ত্রীর মর্মান্তিক খুনের ঘটনা ঘটল।

আরও পড়ুন: প্রবীণ-মহিলারা বেশি সাইবার অপরাধের শিকার, বলছে NCRB-র তথ্য

নিহতের পরিজনের দাবি
শেখ আফসার হুসেন দাবি করেন, বাটাম দিয়ে মেরেছে। ছেলে ছিল পাশের বাড়ি। সেখানে ঘুমিয়ে ছিল। পরে থানায় আত্মসমর্পণ করে। কোনও দিনও জেল থেকে যাতে ফিরে আসতে না পারে, তাই চাই। বড় ছেলের বয়স ২৮ বছর। প্রায়ই অশান্তি হত। খামোখা অশান্তি হত। কাজ করবে না। গত ১০ বছর টাকা দিয়ে, চাল দিয়ে মানুষ করেছি। ছেলেদের কাজ শিখিয়েছি। বড় মেয়ের বিয়ে হল। তখন টাকাপয়সা দিয়ে সাহায্য করেছি। কেউ জানে না এমন ঘটে গিয়েছে। ছেলে কলকাতায় যাবে বলে ঘরে ঢুকেছিল। তখন দেখে মেরে বাড়ির ভেতরেই ফেলে রেখেছে। আর এখানে এসে সারেন্ডার করেছে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement