scorecardresearch
 

Howrah, Rajapur : হাওড়ায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, পুলিশের মদতে হাসপাতালে ভর্তি করল পরিবার

Howrah, Rajapur: পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ হন। তবে তাঁর চিকিৎসা হয়নি বলে অভিযোগ। পরে গৃহবধূর বাবা পুলিশের হস্তক্ষেপে শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়েকে উদ্ধার করেন।

Advertisement
বধূর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ দায়ের করেছেন বধূর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ দায়ের করেছেন
হাইলাইটস
  • স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে
  • রপর অগ্নিদগ্ধ স্ত্রীকে চিকিৎসা না করে ঘরে রেখে দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
  • হাওড়ার রাজাপুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে

Howrah, Rajapur: স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। এরপর অগ্নিদগ্ধ স্ত্রীকে চিকিৎসা না করে ঘরে রেখে দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। হাওড়ার রাজাপুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

পুলিশের সাহায্য নিয়ে
পরে বাবা পুলিশের সাহায্য নিয়ে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করান। মেয়ের বাবা সেখানে গেলে জামাই টাকার দাবি করেছেন বলেও অভিযোগ। 

আরও পড়ুন: গঙ্গাসাগর থেকে ২৩ পুণ্যতরীতে ২১ জেলায় যাবে জল

বাড়িতে ফেলে রাখার অভিযোগ
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ হন। তবে তাঁর চিকিৎসা হয়নি বলে অভিযোগ। পরে গৃহবধূর বাবা পুলিশের হস্তক্ষেপে শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়েকে উদ্ধার করেন। এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করান।

সেই খবর গৃহবধূর বাপের বাড়ি জানতে পারলে তাঁরা মেয়েকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। গৃহবধূর বাবা মঙ্গলবার রাজাপুর থানায় জামাইয়ের নামে অভিযোগ দায়ের করে। 

গুরুতর অবস্থা
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গৃহবধূর বাড়িতে যায়। এবং তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজাপুর থানার বৃন্দাবনপুরে। অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর নাম লক্ষ্মী দেশমুখ। তিনি গুরুতর ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।

বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় গৃহবধূর বাবা অনিল মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজাপুর থানার পুলিশ গৃহবধূর স্বামী অরূপ দেশমুখকে গ্রেপ্তার করেছে।

আরও পড়ুন: মকর সংক্রান্তিতে কেন খাওয়া হয় খিচুড়ি? জানুন দান করার মাহাত্ম্যও

মেয়ের বাবার দাবি
অনিল মণ্ডল বলেন, " রবিবার রাতে হয়েছে। দাদার মৃত্যুর পর মেয়ে সেখানে গিয়েছিল। রবিবার রাতে কিছু একটা হয়েছিল বলে জানতে পারি। কোনও কারণ আগুন লেগে যায়। খবর পাই নাতনির কাছ থেকে। নাতনি জানায়, দাদু তুমি যেখানেই থাকো না কেন, চলে আসো।"

Advertisement

তবে দাদার কাজ ছিল বলে সঙ্গে সঙ্গে আসতে পারেননি। পরে এসে দেখেন মেয়ে পড়ে রয়েছে। চিকিৎসা করা হয়নি বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, "জামাইকে ফোন করি অনেকবার। জামাই ডিউটি করতে গিয়েছিলেন। তিনি ঘরে ছিলেন না। মনে হয়, কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। জামাইয়ের ওপর সন্দেহ রয়েছে। কারণ তিনি কোনও কথা শুনছেন না।"

তিনি বলেন, "মেয়ের চিকিৎসা চাই। ভাল মতো বাঁচুক, সেটাই চাই। জামাইকে বলেছি। মেয়ের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়।" তিনি দাবি করেন, জামাই তাঁকে জানিয়েছেন, এখানে চিকিৎসা হয় না। কোয়াক ডাক্তার এনেছিলেন তাঁর জামাই। তিনি ওষুধ লিখে দিয়েছেন। তা খেলেই ঠিক হয়ে যাবে বলে জামাইকে জানিয়েছেন ডাক্তার। তিনি সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টাকা চেয়েছেন ডাক্তারের চিকিৎসার জন্য।

 

Advertisement