scorecardresearch
 

দলিলের আঙুলের ছাপ চুরি করে ব্যাঙ্ক প্রতারণা, হুগলিতে ধৃত UP-র হ্যাকার গ্যাং

ধৃতদের মধ্যে দু'জন অনলাইনে আধার কার্ড তৈরির কাজ করতেন। পুলিশের অনুমান সেখান থেকেই সাইবার ক্রাইমের দিকে ঝোঁকা শুরু করে তারা। যদিও ঘটনায় হতবাক সাইনবোর্ড এলাকার মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, ওই এলাকায় এভাবে এসে কেউ আস্তানা গাড়বে তা তাঁরা বুঝতেই পারেনি। এবিষয়ে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্নব ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ধৃতরা দিনকয়েক আগে সাইনবোর্ড এলাকার একটি বাড়ি মাসিক ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়া নেয়।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করে প্রতারণা
  • ব্যান্ডেল থেকে গ্রেফতার ৪
  • ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ

কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! অস্বাভাবিক আচরণে সন্দেহ হয়েছিল এলাকাবাসীর। সেইমত স্থানীয়রাই খবর দিয়েছিলেন থানায়। পুলিশ গিয়ে হানা দিতেই বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধরা পড়লো সাইবার ক্রাইমে জড়িত থাকা উত্তরপ্রদেশের চার ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়া থানার ব্যান্ডেল সাইনবোর্ড এলাকায়। ধৃত চারজনকে রবিবার চুঁচুড়ার বিশেষ আদালতে তোলা হলে ১২দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃত চারজনের নাম প্রদীপ সাহানি, সদানন্দ শ্রীবাস্তব ওরফে মনু, মনোজ কুমার এবং শিবম গুপ্তা। 

জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দু'জন অনলাইনে আধার কার্ড তৈরির কাজ করতেন। পুলিশের অনুমান সেখান থেকেই সাইবার ক্রাইমের দিকে ঝোঁকা শুরু করে তারা। যদিও ঘটনায় হতবাক সাইনবোর্ড এলাকার মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, ওই এলাকায় এভাবে এসে কেউ আস্তানা গাড়বে তা তাঁরা বুঝতেই পারেনি। এবিষয়ে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্নব ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ধৃতরা দিনকয়েক আগে সাইনবোর্ড এলাকার একটি বাড়ি মাসিক ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়া নেয়। ধৃতরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে শুধু এটিএম-এই  যাতায়াত করতো। হিন্দিভাষী ওই চারজনের আচরণে সন্দেহ হওয়ায় খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এরপর চুঁচুড়া থানার পুলিশ ওই বাড়িতে হানা দিয়ে অভিযুক্তদের পাকড়াও করে। তাদের কাছ থেকে বহু সিমকার্ড, ফিঙ্গার প্রিন্ট নকল করার যন্ত্র ও নগদ ৪ লক্ষের বেশি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। 

ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, তারা সকলেই উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর ও কৃষিনগর জেলার বাসিন্দা। উত্তরপ্রদেশের বহু মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে টাকা টাকা তুলেছে তারা। পুলিশ কমিশনার বলেন, ধৃতরা উত্তরপ্রদেশের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের পাবলিক ডোমেন ওয়েবসাইট থেকে সাধাররণের দলিলে থাকা আঙুলের ছাপ চুরি করতো। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের দীর্ঘদিন লেনদেন বন্ধ থাকা অ্যাকাউন্টের তালিকা তাদের কাছে আগে থেকেই ছিল। এরপর নিজেদের কাছে থাকা ফিঙ্গার প্রিন্ট নকল করার যন্ত্রে দলিলের ফিঙ্গার প্রিন্ট ফেলে নকল করত। সেখানেই শেষ নয়। এরপর, অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করে অনলাইন ব্যাঙ্কিয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করে নিজেদের কাছে থাকা বেনামের সিম নম্বার বসিয়ে দিতো। সেখান থেকেই অতি সহজে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের টাকা নিজেদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে রাতারাতি এটিএম থেকে তুলে নিতো তারা। 

Advertisement

ধৃতদের জেরা করে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। কারণ ফিঙ্গার প্রিন্টের উপর নকল ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করা গেলে বহুক্ষেত্রেই সমস্যা তৈরি হবে। পুলিশের অনুমান, ধৃতরা একটি জায়গায় বেশিদিন না থাকায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের জালে তাঁরা ধরা পড়েনি। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।  

আরও পড়ুনবাংলা গানের প্রসারে নিরলস প্রচেষ্টা, চতুর্থ বর্ষে হুগলি জেলা সঙ্গীত মেলা 

 

Advertisement