কালীপুজোর চাঁদা নিয়ে গোলমালের জেরে চাঁদা আদায়কারীর গায়ের উপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গাড়ির ধাক্কায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডিতে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার জেরে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুরে একাধারে শোক ও ক্ষোভের আবহ। পাশাপাশি চাঁদার জুলুম নিয়েও সরব হয়েছেন অনেকে।
আরও পড়ুনঃ দীপাবলি বা কালীপুজোর রাতে ভুলেও এই পোশাক পরবেন না, কেন?
মৃত যুবকের নাম সুনীল কোলে। ওই এলাকারই বাসিন্দা। একটি পুজো কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। কদিন ধরেই রাস্তায় নেমে বরাবরের মতো সক্রিয়ভাবে চাঁদা তোলা, পুজোর কাজ করাতে যুক্ত ছিলেন। তাঁকেই ধাক্কা দিয়ে পালায় একটি পিকআপ ভ্যান। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডি থানা এলাকার পানিশালা মোড়ে।
কদিন ধরেই সেখানে চাঁদা তোলা হচ্ছিল
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, এলাকায় কালীপুজো উপলক্ষে কুশমণ্ডির পানিশালা মোড়ের একটি ক্লাবের সদস্যরা চাঁদা তুলছিল কয়েকদিন ধরেই। আর কয়েক দিনের মধ্যেই কালীপুজো। তাই গত দু'তিনদিনে চাঁদা তোলার হিড়িক বেশিই ছিল।পানিশালা রাস্তার মোড়ে পথচারীদের দাঁড় করিয়ে চাঁদা তুলছিলেন ক্লাবের সদস্যরা। অনেকেই স্বেচ্ছায় দিলেও কেউ কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করছিল। এই পিকআপ ভ্যানটির চালকও সে রকমই একজন।
ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল?
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার পানিশালা মোড়ের কাছেই একটি পিকআপ ভ্যান এলাকার বিভিন্ন পোল্ট্রি ফার্ম থেকে আবর্জনা সংগ্রহের জন্য এসেছিল। স্থানীয় ক্লাবের ছেলেরা সেই গাড়ির চালকের কাছে কালীপুজোর জন্য চাঁদার আবদার করে সকালেই। ক্লাব সদস্য়দের দাবি, প্রথমে গাড়ি চালক জানিয়েছিলেন, সন্ধ্যায় গাড়ি নিয়ে যাওয়ার আগে তিনি চাঁদা দিয়ে যাবেন। কিন্তু রাত পর্যন্ত গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলেও চাঁদা দেননি পিক-আপ ভ্যান চালক। তখন ক্লাবের তিন সদস্য ওই গাড়ি চালকের কাছে গিয়ে চাঁদা দাবি করেন। এর পরই শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে বচসা। ওই যুবকদের দাবি, তাঁরা ২০০ টাকা চাঁদা চেয়েছিলেন। কিন্তু সকালে রাজি হলেও ওই চালক রাতে আর চাঁদা দিতে চাননি। দু'পক্ষের মধ্য়ে তর্কাতর্কি চলছিল। তার মধ্যে আচমকা গাড়ি স্টার্ট করে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সুনীলকে ধাক্কা দিয়েই গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান চালক। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে দাবি তাঁদের।
আরও পড়ুন: ১৪ শাকের নামে যা খুশি গছিয়ে দেয়নি তো! না ঠকতে চাইলে আসল জিনিস চিনুন
এরপরই এলাকায় ব্যাপক গোলমালের সৃষ্টি হয়। সুনীলের দেহ উদ্ধার করে বিক্ষোভ শুরু করেন ওই ক্লাবের সদস্যরা। তড়িঘড়ি ছুটে আসে পুলিশ। রাস্তা থেকে পিক-আপ ভ্যানটিকে আটক করে পুলিশ। তবে গাড়িচালকের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ বলে খবর।