Bhoot Chturdashi: ভূত চতুর্দশী সামনে। কালীপুজো বা দীপাবলির আগেই পালিত হবে দিনটি। দীপান্বিতা অমাবস্যার আগে এই চতুর্দশী তিথিতেই পালিত হয় ভূত চতুর্দশী। হিন্দু শাস্ত্র মেনে অনেকেই এই দিনটিতে বাড়িতে চোদ্দ প্রদীপ জ্বালান এবং চোদ্দ রকমের শাক খেয়ে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ ভূত চতুর্দশীতে শিবের পুজো করুন, সমস্ত ইচ্ছে পূরণ হবে
শাস্ত্রমতে কেন খাওয়া হয় ১৪ শাক?
হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয় যে এদিন মৃত পূর্ব পুরুষরা মর্ত্যে আসেন৷ তাঁদের খুশি করতে এবং অতৃপ্ত আত্মাদের অভিশাপ থেকে বাঁচতেই কিছু প্রথা মানা হয়। সেই প্রথারই অংশ চোদ্দ শাক খাওয়া ও চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানো। হিন্দুদের বিশ্বাস, মৃত্যুর পর দেহ পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। অর্থাৎ আকাশ, মাটি, জল, হাওয়া, অগ্নি- প্রকৃতির এই পাঁচ উপাদানের মধ্যেই মিশে থাকেন পূর্বপুরুষরা। আর তাই প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা ১৪ রকমের শাক মৃত ১৪ পুরুষের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়।
১৪ শাক খাওয়ার পিছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
তবে ১৪ শাক খাওয়া ও ১৪ প্রদীপ জ্বালানোর পিছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। বৈজ্ঞানিক মতে, ঋতু পরিবর্তনের জন্য এই সময় নানা ধরনের অসুখ হয়ে থাকে। ১৪ শাক খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আবার হেমন্তের শুরুতে পোকার উপদ্রব দূর করতে বাড়িতে ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়।
১৪ শাকের বেশিরভাগই মেলে না
কিন্তু সমস্য়া হচ্ছে, শাস্ত্রে বর্ণিত শাকগুলির অধিকাংশই এখন আর বাজারে পাওয়া যায় না। আসল কথা পাওয়ার চেষ্টাও করেন না কেউ। ১৪ শাকের নামে কচু ঘেঁচু যা পান, শাক-পাতার মধ্যে ঢুকিয়ে দেন বিক্রেতারা। আমরা ঠিকমতো না জানা থাকায় তাই নিয়ে আসি তৃপ্ত বদনে। কিন্তু এবার থেকে বাজারে গিয়ে ঠকার বদলে চ্যালে়ঞ্জ ছুড়ে দিন।
আরও পড়ুনঃ দীপাবলিতে এভাবে লক্ষ্মীপুজো করলে আসে বৈভব-ধন-সম্পত্তি, জানুন নিয়ম
কোনগুলি আসল ১৪ শাকের মধ্যে পড়ে?
ওল, নটে, বেথুয়া বা বেথো, সরষে, কালকাসন্দি, জয়ন্তী, নিম, হেলঞ্চ, সজনে, পলতা, গুলঞ্চ, ভাটপাতা, শুলফা ও শুষনি শাক। মূলত এই ১৪ রকমের শাক রান্না করা হয়। ১৪ শাক ধুয়ে সেই জল ছিটিয়ে দেওয়া হয় বাড়ির প্রতিটি কোণে। একই সঙ্গে প্রেত ও অশুভ শক্তি দূর করতে এই দিন সন্ধেয় বাড়িতে ১৪ প্রদীপ জ্বালিয়ে থাকেন বাঙালি গৃহস্থরা।